ধৈর্য ধারণ মুমিনের গুণ

ইসলাম ডেস্ক
| আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:০৮ | প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:০৩

সবর বা ধৈর্য একটি মহান গুণ। এই গুণটি ছাড়া মানুষ দুনিয়া-আখেরাতে সফলতা লাভ করতে পারে না। যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তিকে কাবুর মধ্যে রাখতে পারে তার জন্য রয়েছে বিশাল সুসংবাদ। কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর।’ (সুরা আলে ইমরান-২০০) এই সবর তিনটি মুহূর্তে করতে হয়। একটি মুহূর্ত তো হলো, যখন বিপদাপদ আসে। কোনো প্রিয়জন মারা গেল, ধনসম্পদের কোনো ক্ষতি হলো বা নিজের কোনো সমস্যা হলো এ সময় ভেঙে না পড়ে ধৈর্য ধরতে হবে। আর দ্বিতীয় মুহূর্ত হলো, যখন গোনাহ করার জন্য অন্তর অস্থির হয়ে উঠে, মন চাইতে থাকে তখন নিজেকে সবরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা। যেমন কোনো পরনারীর দিকে দৃষ্টি দিতে অথবা গিবত ইত্যাদি করতে মন খুব চাচ্ছে। এই মুহূর্তে নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হলো সবরের দ্বিতীয় মুহূর্ত। এই মুহূর্তে সবর করা হয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য। সবর না করলে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়ে যাবে।

আর সবরের তৃতীয় মুহূর্ত হলো আল্লাহ তায়ালা কোনো কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন ফজরের আজান হয়েছে, কিন্তু চোখে ঘুম। কোনোক্রমেই উঠতে মন চাচ্ছে না। কিন্তু মুয়াজ্জিন ডেকে যাচ্ছে, ‘এসো কল্যাণের দিকে, এসো নামাজের দিকে’। মুয়াজ্জিন এটাও বলছেন, ‘ঘুম থেকে নামাজ উত্তম’। একদিকে প্রবৃত্তি বলছে, শীতের রাত, উঠলে ঠাণ্ডা লাগবে; কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ; তখন প্রবৃত্তিকে পাত্তা না দেয়া এটা আনুগত্যের সবর। এই মুহূর্তে মানুষ নফসকে কাবু করতে না পারলে তার দুনিয়া-আখেরাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

আমরা দুনিয়া অর্জনের জন্য কত সবর করি, কত কষ্ট সহ্য করি। সকাল সাতটায় ডিউটি, নামাজি না হলেও ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে যেতে হয়। কারণ সঠিক সময়ে অফিসে না গেলে মাস শেষে বেতন পাওয়া যাবে না। চাকরি থাকবে না। সুতরাং আমরা এসব মুহূর্তে সবর বা ধৈর্য ধারণ করি। এছাড়াও দুনিয়ার নানা কাজে মানুষ ধৈর্যের পরীক্ষা দেয়। আমাদের অনেক কিছু খেতে মনে চায়, কিন্তু ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞার কারণে খাইতে পারি না। এখানে আমরা ধৈর্য ধরি। তেমনিভাবে দ্বীনের জন্য প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ধৈর্য ধরা মুমিনের অন্যতম দায়িত্ব।

(ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :