পুনর্মিলনীতে মির্জাপুর এস.কে পাইলটের শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীর হোসেন
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৪৫ | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:২৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এস কে পাইটল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৯ ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ২৭ বছর পর বন্ধুরা মিলিত হয়ে হাসি আনন্দে মেতে উঠেন। পুরোনো দিনে স্মৃতিচারণ করেন। শুক্রবার বিকালে মির্জাপুর পৌরসভা মিলনায়তনে এ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৮৯ ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল জীবনের সোনালি দিনগুলো অনেক বছর আগে শেষ হয়েছে। অনেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষে করে হয়েছে চিকিৎসক বা গবেষক। আবার কেউ বা চাকরি কেউ ব্যবসা করছেন। অনেকে রাজনীতি করেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। অনেকে সংসার আর ছেলেমেয়ে নিয়েই ব্যস্ত। এক সঙ্গে এক স্কুলে পড়া প্রিয় মানুষদের সঙ্গে অনেক বছর পর দেখা। প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর গল্পে সময় পার করছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় অনেকের নামও ভুলে গেছেন অনেকে।

এরমধ্যে অনেকের পেকে গেছে দাড়ি, কারও চুল। দীর্ঘ ২৭ বছর পর শুক্রবার দুপুরের পর পুনর্মিলনীতে যখন একেক জন একেক পোষাকে পৌর মিলনায়তনে আসছেন, একে অপরকে দেখে অবাক হলেও পরক্ষণেই স্কুল জীবনে ফিরে যান।

ব্যাচের ছাত্র মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন উচ্ছাস প্রকাশ করে ঢাকাটাইমসকে বলেন বন্ধুত্বের ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা আমাদের বন্ধুতের বন্ধন এখনো অটুট রেখেছি এবং আগামীতেও অনুরূপ থাকবে। তিনি বলেন আমরা যে যেখানে এভাবেই থাকি সকলে মিলে পুনর্মিলনী অব্যহত রাখবো।

সুদূর কানাডা থেকে পুনর্মিলনীতে এসেছেন কানাডা ম্যাকজিল সেন্টার ফর হেলথ ইকুনোমিক সেন্টারের গবেষক বুমকেশ তালুকদার। তিনি বলেন, শত সুখ শত আনন্দে থাকলেও স্কুল জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার মত আনন্দ পৃথিবীতে আর হয় না। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি সেই দশম শ্রেণিতে পড়া জীবন ফিরে পেয়েছি।

ঢাকা ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিপ্লব কুমার সাহা ঢাকাটাইমসকে বলেন, জীবনে সব কিছু পাওয়ার পর যখন স্কুল জীবনের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে তখন একে একে অনেক বন্ধুদের নাম স্মরণ করতে থাকি। কিন্ত ব্যস্ততায় তাদের সঙ্গে দেখা বা খোঁজ নেয়া হয় না। আজকে এই দিন জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হাজী আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা একে অপরের পরিবার সর্ম্পকে জানতে পারলাম। এটা মনের খোরাক। খুব ভালো লাগছে।

পাকা দাড়ি-চুলে ভরা ব্যবসায়ী সাজ্জাত হোসেনের স্কুল জীবনের সোনালি দিনগুলো এখনো স্মৃতির পাতায় কড়া নাড়ছে। তিনি ঢাকাটা্ইমসকে লেন, শত ব্যস্ততার মধ্যে যে আয়োজন আমাদের একত্রিত করেছে সেই আয়োজন করতে হবে বছরে একবার।

এটি শুধু পুনর্মিলন নয় এটি একটি স্মৃতিচারণ মেলা বলে মনে করেন স্কুল শিক্ষিকা রুনা। তিনি প্রতি বছর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে যেন পুরনো দিনে ফিরে যেতে পারেন এ আশা করেন। আড্ডা শেষে রাতে সবাই মিলে নৈশ্যভোজে শেরে যে যার বাড়ি ফেরেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :