ময়মনসিংহ হাসপাতালে আটকে আছে জখমের সহস্রাধিক সার্টিফিকেট

মনোনেশ দাস,ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৯:২৩

ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কলেজের ফনেরসিক বিভাগে জখমের সহস্রাধিক রিপোর্ট আটকে রাখা আছে। এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো রিপোর্ট দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যথাসময়ে সার্টিফিকেট না পেয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারছেন না তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নাজেহালের পাশাপাশি সময়মতো বিচার পেতে দেরি হচ্ছে মানুষের।

হাসপাতাল ও ফরেনসিক বিভাগের এক শ্রেণীর চিকিৎসক ও কর্মচারির গাফিলতি এবং দুর্নীতির কারণে এসব সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের ১৩ থানায় ৬শ’, জামালপুরে ২শ’ শেরপুরে ৩০, নেত্রকোনায় আড়াইশ’, কিশোরগঞ্জে ৫০, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে ২০টিরও অধিক সার্টিফিকেট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ঝুলে আছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, গত এক বছরে তার থানায় করা ২২০টি মামলার জখমি সার্টিফিকেট এখনো দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রায়ই গিয়ে সার্টিফিকেট দেয়ার তাগাদা দিলেও তারা সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাতেও উপস্থাপনও করেছেন তিনি।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ মোল্লা জানান, তার থানায় ৩০টির বেশি জখমের মামলা আছে। এসব মামলার সার্টিফিকেট এখনো দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরও কয়েকদিন সময় লাগার কথা বলে কর্তৃপক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুর আলম জানান, তার থানার করা ৪০টি বেশি জখমের মামলা হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আটকে আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, রিপোর্ট না আসায় প্রায় সহস্রাধিক সার্টিফিকেট আটকে আছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর প্রায় প্রতিদিনই ১০/১২টি করে সার্টিফিকেট সম্পাদন করছি।

বদরুর আলম আরও বলেন, ‘পরিচালক আমাকে জানিয়েছেন, কিছু সনদ ওয়ার্ড ইনচার্জ (সিএন) এবং রেজিস্ট্রারকে দিয়ে সম্পাদন করাতে। কিন্তু ভুল-ক্রটির ভয়ে তারা কেউ সম্পাদন করছেন না। এর ফলে অন্যান্য কাজ করার পাশাপাশি এসব সম্পাদন করতে আমি হিমশিম খাচ্ছি।’ সার্টিফিকেটগুলো আটকে পড়ার কারণ হিসাবে পূর্ববর্তীদের দায়ী করেন তিনি।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।

জেলা নাগরিক আন্দোলন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, হাসপাতাল ও ফরেনসিক বিভাগের এক শ্রেণীর ডাক্তার ও কর্মচারির গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে সময় মত সার্টিফিকেট আদালতে না আসায় মামলা জটের সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘায়িত হচ্ছে মামলার বিচার কার্যক্রম। বিচার প্রার্থী ও পুলিশের দুর্ভোগও বেড়েছে । তিনি এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

দেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, ঢাকা কতটা ঝুঁকিতে?

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস: জানুন মশাবাহিত এ রোগ প্রতিরোধের উপায়

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :