গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্স ছেড়ে নিজের বাসভবনে ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৩০ | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:০৮

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের পরও প্রায় ছয় বছর গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে সম্প্রতি তিনি এই ভবনটি ছেড়ে তার নতুন আবাস ভবনে উঠেছেন।

গত বুধবার ইউনুস তার মিরপুর-২ নম্বরে গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সের এই আবাস ছেড়ে যান বলে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন ইউনুস সেন্টারের মহাব্যবস্থাপক এমএফএম আমির খসরু। তিনি জানান, ৩০ বছর ধরে এই ভবনে ছিলেন তিনি। আর ছেড়ে যাওয়ার সময় অশ্রুসজল ছিলেন সবাই।

যাওয়ার সময় ইউনুসকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান ইউনুস সেন্টারের সদস্যরা। এ সময় তাদেরকে ‍ুউদ্দেশ্য করে বক্তব্যও রাখেন ইউনুস।

ইউনুসের হাত ধরেই যাত্রা শুরু গ্রামীণ ব্যাংকের। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বয়সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি এই পদে ছিলেন কয়েক বছর। তবে ২০১১ সালের ২ মার্চ তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান তিনি। কিন্তু হেরে যান মামলায়।

ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরে গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে থাকতেন ইউনূস। তার নামের প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের কার্যালয়ও ওই ব্যাংক ভবনে। এক টাকার বিনিময়ে ওই ফ্লোরটি তাকে দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া দেয়া হয়। প্রায় বিনা পয়সায় ভাড়া দেয়া নিয়ে সমালোচনাও আছে।

ইউনুস সেন্টারের মহাব্যবস্থাপক এমএফএম আমির খসরু ফেইসবুকে এ বিষয়ে ইংরেজিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এর বাংলা অনুবাদ এমন, ‘অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুসগ্রামীণ ব্যাংক ভবন কমপ্লেক্স ভবনে গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি এই ব্যাংককে তার নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করতেন। এমনকি তিনি যখন দেশের বাইরে ছিলেন তখনও এখানে যেন তার উপস্থিতি অনুভব করা যেত।’

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ হওয়ার পরও ছয় বছর এই ভবনে থাকার বিষয়ে আমির খসরু লিখেন, ‘তিনি বহু আগেই এই ভবনটি ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামীণ পরিবারের অনুরোধের ‍মুখে তিনি এখানে থেকে যান।’

আমির খসরু লিখেন, ‘আমাদেরকে চোখের জলে ভাসিয়ে নিয়ে তার তার নতুন বাসভবনে চলে গেলেন।’

তবে ইউনুসের নতুন বাসভবনটি কোথায় সে বিষয়ে আমির খসরু কিছু লিখেননি। তিনি লিখেন, ‘তার পুরনো শয়নকক্ষে এখন মৃত্যুর নীরবতা। পুরনো ভবনে আমরা চিরদিন তার স্মৃতি মনে রাখবো এবং ২০০৬ সালের মতো আবারও এখানে আনন্দ করার অপেক্ষায় আছি ‘

‘স্যার, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আপনি এক হাজার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় ভালো থাকবেন’-লিখেন আমির খসরু।

ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :