‘স্বাগতা বাংলাদেশের, ইন্ডিয়ার নয়’

অনলাইন ডেস্ক
| আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১৯ | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:১৯

মডেল, অভিনেত্রী, গায়িকা এবং উপস্থাপিকা সানু স্বাগতা। শিল্পের সব কটি বিভাগে রয়েছে তার পদচারণা। টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। বিনোদন জগতে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন স্বাগতা। বর্তমানে দেশে বিদেশি সিরিয়াল এবং ডাবকৃত বাংলা সিরিয়াল নিয়ে যে আন্দোলন চলছে তাতেও সোচ্চার এই শিল্পী। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হয় ঢাকাটাইমস এর সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহজালাল রোহান।

কেমন আছেন? খুব ব্যস্ত মনে হয়?

এই ভালো। কিন্তু একটু তাড়াহুড়া করছি এ কারণে আমার শ্বশুরের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন ওপেন হার্ট সার্জারি হচ্ছে। হাসপাতালের দিকে যাচ্ছি।

এখন কোন কোন ধারাবাহিক নাটক ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন?

এক কথায় যদি বলি কাজের অবস্থা বেশি ভালো না। যা শুরু হয়েছে, নিজের দেশের চেয়ে অপরের দেশের সব কিছুই চলছে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে। তারপরও মাহমুদ দিদারের একটি ধারাবাহিক করছি। নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হবে। পরিচালক সম্রাট এর ‘পাপ’নামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। এটি চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে। আমি একটু বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি।

উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও বৈচিত্র নিয়ে কাজ করছি। আগামি বছরের জানুয়ারিতে একটা টার্গেট শ্রেণির দর্শককে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এটি পুরনো দিনের গানে অনুষ্ঠান ‘সোনালি দিনের রুপালি গল্প’। এটি প্রচারিত হবে বাংলাভিশনে। শ্রোতাদের সব পুরনো দিনের জনপ্রিয় গান থাকবে সেখানে। সেসব গানের নায়িকার যেসব পোশাক পরেছিলেন, আমি তেমনই পোশাকে উপস্থাপনা করবো। এ রকম কোন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা আমি আগে কখনো করিনি।

বিদেশি ডাবকৃত সিরিয়াল ও শিল্পীদের কাজ কমে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলেন? এ বিষয়টি মনে হয় আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে প্রচার করা হচ্ছে। তাও আবার পিক আওয়ারে! এর পর অফপিক আওয়ারে চলছে টকশো! এরপর বিজ্ঞাপনে অত্যাচার! তাহলে দর্শকরা কি দেখবে। তারাতো পিক আওয়ারে যা পাবে তাই দেখবে। তাই না? এছাড়াও সিরিয়ালের বিষয়বস্তু কতো নোংরা ভাবে উপস্থাপনা করা হয়। আগে আমরা অনেক সিরিয়াল দেখেছি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে একদিন দেখানো হতো। এ রকম ধারবাহিকভাবে কি কখনো দেখিয়েছে? এ কারণে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের মুখে পড়বে। শিল্পীদের কাজও কমে যাচ্ছে। আরো কমে যাবে। টেলিভিশনতো তাদের লাভের কারণে যা ইচ্ছা তাই দেখাবে। এজন্যই প্রতিবাদ করার জন্য শিল্পী-নির্মাতা ও টেলিভিশন পেশাজীবী সমাজ রাস্তায় নেমেছে। আমিও তাদের সঙ্গে আছি।

জনগণের কি করা উচিত? আপনার কি মনে হয়? আমি শিল্পী হিসেবেও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও প্রতিবাদ জানিয়েছি। দেখুন আমার জন্ম বাংলাদেশে। কিন্তু আমার অরিজিন ভারতে। আমার সবাই এখনো ভারতে। আমার কিন্তু ঐদেশের প্রতি বেশি মায়া মহব্বত থাকার কথা ছিলো। তা কিন্তু হয়নি। এ দেশ ও সংস্কৃতি আমার ভালো লাগার জায়গা। আজকের স্বাগতা বাংলাদেশের স্বাগতা। ইন্ডিয়ার নয়। অথচ আমিও প্রতিবাদ করছি। সবার উচিত প্রতিবাদ করার ।

দীপ্ত টিভিকে নিয়ে কি যেন বলছিলেন? আমি কিছুদিন আগে দীপ্ত টিভির কার্যালয়ে যাই। ঢুঁকতেই দেখি দুটি কুকুর। তাদের রুচিবোধ দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। এই তো আর কি? তারপরে তাদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল, তারা এ দেশের শিল্পীদের তেমন মূল্যায়ন করেন না। এ ছাড়াও সিরিয়াল চালায়। তারা কারো কথাই শোনে না। শুধু দীপ্ত নয় এখন অনেক চ্যানেলই দেখাচ্ছে, একুশে টিভি, মাছরাঙা, এসএটিভি সবাই দেখাচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিটি চ্যানেল দেখাবে। এটা কি ঠিক?

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এসজেআর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :