১৪৪ ধারা ভেঙে প্রচারে এমপি রাজু, মারামারি

এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী
 | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৪৭

নির্বাচনী আচরণিবিধি ও ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে দাঙ্গাবিধ্বস্ত এলাকা নিলায় গিয়ে দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে পড়েছেন রায়পুরার এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। পরে পুলিশের সহযোগিতায় নিলা ছেড়ে যান তিনি।

তবে তার উপস্থিতিতেই নিলা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রাজিব ও হক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। আর তাতে কাউয়াবাড়ির পাঁচটি ঘরে, সহির বাড়ির তিনটি ঘরে এবং আমিরাবাদ গ্রামের দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও জেলা পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী রাজিব আহমেদের পক্ষে ভোট চাইতে গেলে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান দাঙ্গার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গত ১৮ নভেম্বর থেকে নিলা ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পুলিশ সুপারের লিখিত অনুরোধে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর পর থেকে ওই এলাকায় দুবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায়পুরার এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক চেয়ারম্যান, আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, হাইরমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক বাবলার নেতৃত্বে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী রাজিব আহমেদের জন্য ভোট চাইতে চরাঞ্চলের দাঙ্গাবিধ্বস্ত এলাকা নিলায় যান। এ সময় এমপির গাড়িবহরকে নিরাপত্তা দিতে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম এবং নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তার সঙ্গে ছিল। এ ছাড়া এমপির গাড়িবহরের সামনে ছিল শতাধিক মোটরসাইকেল।

মোটরসাইকেল আরোহী দুই শতাধিক এমপি-সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে নিলার হরিপুর গ্রামের সহি মেম্বারের বাড়ির সামনে যায়। এ সময় হক চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ভেবে নেয় এমপির নেতৃত্বে লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ করতে এসেছে এবং রাজিবের সমর্থকরা ভেবে নেয় হক চেয়ারম্যানের লোকেরা এমপির বাড়ি হামলা করেছে।

এ ধারণা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। এ সময় রাজিবের সমর্থনে আসা শতাধিক হোন্ডার বহর পালিয়ে যেতে থাকে। তবে হক চেয়ারম্যানের সমর্থকরা চারটি হোন্ডা আটকে ফেলে। উপায়ন্তর না দেখে এমপি রাজু পুলিশের সহায়তায় দড়িগাঁওয়ের ছক্কার মোড়ে আশ্রয় নেন। সেখানে এক ঘণ্টার বেশি সময় তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন বলে এলাকাবাসী সূত্র জানায়।

পরে সেখানে আগে থেকে রাজিব আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নিয়ে শেষে বেলা দুইটার দিকে এমপি রাজু অন্য নেতাদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে আসেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :