মাধবপুরে ভোট কেনার চেষ্টায় কোটিপতি প্রার্থীরা

শামীম চৌধুরী, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
| আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:৪২ | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:৪১

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে মাধবপুরে বইছে নির্বাচনী আমেজ। নিবার্চনে সাধারণ সদস্য পদে অনেক কোটিপতি প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন। ফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে ভোটারদের কাছে তদবিরের পাশাপাশি চলছে ভোট কেনার চেষ্টা।

বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও মাধবপুরের দুটি সাধারণ আসনে বিএনপির আদর্শ লালন করেন এমন একাধিক প্রার্থী আছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

জেলা পরিষদ নির্বিচন ঘিরে মাধবপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। যদিও আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে কেবল উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন, তবু সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ায় এ নিয়ে স্বভাবতই কোনো আলোচনা নেই। সব আলোচনা এখন সদস্য পদ নিয়ে।

কয়েকজন চেয়ারম্যান, মেম্বর ও কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থীদের কাছে তাদের কদর এখন আকাশছোঁয়া। প্রার্থীরা যেভাবে পারছেন ভোট আদায়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। ভোট পেতে বড় নেতা, আমলা, ব্যবসায়ীদের দিয়েও কোনো কোনো প্রার্থী তদবির করাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেন, অনেক প্রার্থী টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে চান। যত টাকা লাগুক দেবেন, ভোট নিশ্চিত হতে হবে। তাই ভোট কেনাবেচার দরদামও চলছে রীতিমতো। এতে করে অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ভোটার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

মাধবপুর উপজেলার দুটি সাধারণ আসনে অধিকাংশ প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এ কারণে প্রার্থীরা নিজের পাল্লা ভারী করতে প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের আনুকূল্য পেয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে মরিয়া। মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে হবিগঞ্জ- ১৪ ও ১৫ নম্বর সাধারণ আসন গঠিত। উপজেলার বাঘাসুরা, ছাতিয়াইন, নয়াপাড়া, জগদিশপুর, শাহজাহানপুর, বল্লা ইউনিয়ন নিয়ে ১৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটারসংখ্যা ৭৯।

এখানে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন। তারা হলেন সৈয়দ মো. শামীম (বৈদ্যুতিক পাখা), মো. কামরুল হাসান অপু (টিউবয়েল), অ্যাডভোকেট শফিউল আলম ফরহাদ (তালা), সাংবাদিক জামাল মো. আবু নাছের (ক্রিকেট ব্যাট), আব্দুল জলিল মনু (অটোরিকশা), সৈয়দ মো. রেজাউল মোস্তফা রাসেল (ঘুড়ি), মো. শাহীন মিয়া মহালদার মনির (হাতি), মো. মিনহাজ উদ্দিন খান (উঠ পাখি), নুর উদ্দিন হোসেন (ঢোল), মো. আজিজ মিয়া (বেহেলা)

উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা, আদাঐর, আন্দিউড়া, মাধবপুর পৌরসভা নিয়ে ১৫ নং সাধারন ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৮০। সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তারা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনু রঞ্জন রায় (বৈদ্যুতিক পাখা), পৌর যুবলীগের সভাপতি সাব্বির হাসান (ক্রিকেট ব্যাট), মাধবপুর বেবিট্যাক্সি সমিতির সভাপতি যুবদল নেতা ফিরোজ মিয়া (অটোরিকশা), উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মহিউদ্দিন কামাল (ঘুড়ি), আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান দুলু (তালা), ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন জনু মিয়া (টিউবয়েল)।

মাধবপুর উপজেলা, চুনারুঘাট পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়ন নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৫ গঠন করা হয়েছে। এই আসনে ৩ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ফাতেমাতুজ জহুরা রিনা (ফুটবল), মোছা. রোকেয়া আক্তার (মাইক), লাইলা নুর বেগম (হরিণ)। সংরক্ষিত নারী আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :