ভিটামিন পর্যালোচনা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:২৬

ভিটামিন হলো খাদ্যে জরুরি কিছু ছোট জৈব অণু। ভিটামিনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যেমন : বি২, ফলিক এসিড, বি১২, ভিটামিন সি ইত্যাদি) এবং চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ( ভিটামিন ডি, এ, ই কে)। ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। অবসন্নতা, ছোট শ্বাস, ক্লান্ত ত্বক, মাথা ঘোরা, অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিট- এগুলো ভিটামিনের অভাবের লক্ষণ।

চলুন জেনে নেয়া যাক দেহে বিভিন্ন ভিটামিনের কাজ, অভাবজনিত রোগ এবং উৎস সম্পর্কে।

ভিটামিন ‘এ’

কাজ: দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখে, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য্য রক্ষাসহ দেহের সার্বিক বৃদ্ধি ঘটায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

অভাবজনিত রোগ: রাতকানা, ত্বকে শুষ্ক ও খসখসে ভাব, কেরাটোম্যালেসিয়া, দেহের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত হয়।

উৎস: ডিম, মাখন, পনির, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি, গাজর, লাল শাক, বাধা কপি, মটরশুটি ইত্যাদি।

ভিটামিন ‘বি’

কাজ: বি-ভিটামিন সমূহ রক্তের লোহিত কনিকা তৈরিতে অবদান রাখে। শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাকে সহায়তা করে, স্নায়ু কোষের খাদ্যপ্রাণ হিসাবে কাজ করে।

অভাবজনিত রোগ: বেরি বেরি, রক্ত শূন্যতা, মুখ ও জিহ্বার ঘা সহ পরিপাক তন্ত্রের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।

উৎস: অংকুরিত ছোলা, আটা চাউলের উপরে পাতলা আবরণ, টমেটো, মটরসুটি, পেয়াজ, লিভার, মাংস, ডিম ও দুধ।

ভিটামিন ‘সি’

কাজ: রক্ত জমাট বাধা ও ক্ষতস্থান সারাতে সাহায্য করে। দেহের টিস্যু (কলা)গঠনে সাহায্য করে। দেহের প্রয়োজনীয় লৌহ ও অন্যান্য মিনারেল শোষণ ও আত্তীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে।

অভাবজনিত রোগ: স্কার্ভি (দাঁতের মাড়ির রোগ), হাড় দুর্বল, রক্তপাত হতে পারে, ঘনঘন সর্দি কাশি ইত্যাদি রোগ।

উৎস: সকল প্রকার টাটকা টক জাতীয় ফল যেমন কমলা লেবু, টমেটো, আমলকী, লেবু, জাম, কাঁচা তেতুল, পেয়ারা, টাটকা শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ‘ডি’:

কাজ: হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মজবুত করে। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে।

অভাবজনিত রোগ: রিকেট, অস্টিও ম্যালেসিয়া, বিলম্বে দাঁত উঠা।

উৎস: দুধ, মাখন, ডিম, ইলিশ মাছের তেল, কডলিভার অয়েল, অস্থি মজ্জা, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি (সূর্যের আলো)।

ভিটামিন ‘ই’

কাজ: শরীরের ক্ষত স্থান সারাতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কনিকাকে অক্সিজেন বহনে সাহায্য করে। প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়।

অভাবজনিত রোগ: অকালে চুল পড়া, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস।

উৎস: বাদাম, শস্য বীজ, তুলার বীজের তৈল, সবুজ শাক-সবজি, লেটুস ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।

ভিটামিন ‘কে’

কাজ: রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। অস্থি সমূহ শক্ত ও মজবুত রাখে।

অভাবজনিত রোগ: কেটে গেলে রক্তপাত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজে জমাট বাধে না।

উৎস: বিভিন্ন প্রকার ডাল, সবুজ শাক-সবজি, গাজর, টমেটোতে পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

করোনায় ধূমপায়ীদের মৃত্যু হার ৩ গুণ বেশি: গবেষণা

বিদায়ী উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রশ্নে যা বললেন ডা. দীন মোহাম্মদ

বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্যকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি  

অ্যানেস্থেসিয়ায় হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ করতে বললো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কেন এ নির্দেশ?

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বাদাম!

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে জানুন সংক্রামক এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত

মৃগী রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন? এর লক্ষণ আর চিকিৎসাই বা কী?

এক যুগ আগেই জানা যাবে আপনি মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত কি না

কীভাবে চিনবেন প্রাণঘাতী অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার? বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :