বগুড়ায় দুই বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আ.লীগে অস্থিরতা

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:৩৯

মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের পরস্পরের প্রতি দোষারোপও বেড়েছে। তাদের প্রধান অভিযোগ, ভোটারদের প্রতি ভয়-ভীতিসহ অর্র্থ দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চলছে। তবে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজ দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী।

২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ না থাকলেও মাগুরায় চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে কিছুটা কৌতূহল ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দুজন।

আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন দিয়েছে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুকুকে (ঘোড়া প্রতীক)। তার বিরুদ্ধে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রানা আমির ওসমান (চশমা) এবং শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি (আনারস)।

দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদারকে দুষছেন দল মনোনীত চেয়ারম্যার প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডু। তিনি বলেন, ‘দলের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রার্থী আমি। কিন্তু মাগুরা-২ আসনের সাংসদ ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার দলের সভাপতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রাথী দিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি ভোটারদের অর্থসহ বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছেন।’

অন্যদিকে দল-মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়-ভীতি ও অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টার অভিযোগ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী রানা আমির ওসমান। তিনি বরেণ, ‘পঙ্কজ কুন্ডু নির্বাচনে পরাজয় জেনে অন্যদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। তিনি ভোটাদের ভয়-ভীতিসহ অর্থের মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। আমার কাছে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, মাগুরার প্রভাবশালী একটি পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের পঙ্কজ কুন্ডুর ঘোড়া প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বলা হয়েছে।’

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খান দলীয় প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান। তিনি বলেন, ‘যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে নির্বাচন অফিস সূত্র জানা গেছে, বর্তমানে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ১১টি সাধারণ সদস্যপদের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন ৩৮ জন। তাদের মধ্যে ২, ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যের তিনটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন। ৮, ১২ ও ১৫ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যের তিন পদের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন নয় প্রার্থী। ৪, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে তিন পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ১২ জন। এ ছাড়া ১১ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের দুটি সাধারণ সদস্যপদের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন যথাক্রমে পাঁচ ও ছয়জন।

১, ৪ ও ৫ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের তিনটি সদস্যপদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দুজন করে ছয়জন প্রার্থী এবং ৩ নং ওয়ার্ডের একটি সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদের জন্য তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার আহমদ আলি বলেন, মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৯৩ জন ভোটার চার উপজেলার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :