রাঙামাটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে
রাঙামাটি জেলায় নারী-পুরুষ উভয়ের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অতীতের চেয়ে বেড়েছে। কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়ে উভয়ে পরিবারের আয়ের অংশীদারিত্ব হচ্ছেন। শিক্ষার হারও বেড়েছে। এটি অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ রাঙামাটি জেলা প্রতিবেদন প্রকাশনার উন্মোচন ও সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জাফর আহম্মদ খান।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মানবেন্দ্র নারায়ণ দেওয়ান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ পরিচালক গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল।
সেমিনারে বলা হয়, ২০০১ ও ২০০৩ সালে শুমারিতে কর্মসংস্থানে যুক্ত নারীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৩৭ জন। ২০১৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৫ জন। মোট উপার্জনকারীর মধ্যে নারী ছিল ১৫ দশমিক ৭৯ ভাগ এবং পুরুষ ছিল ৮৪ দশমিক ২১ ভাগ। ২০১৩ সালে মোট উপার্জনকারীর মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে মোট উপার্জনকারীর মধ্যে নারী ছিল ১৩ দশমিক ৬৫ ভাগ এবং পুরুষ ছিল ৮৬ দশমিক ৩৫ ভাগ। এ সংখ্যা রাঙামাটি সদর এবং এরপরে বাঘাইছড়ি উপজেলা বেশি বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে রাজস্থলী এবং এরপর বিলাইছড়ি উপজেলায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আহম্মদ খান বলেন, রাঙামাটি জেলার শুমারি চালানো বেশ কষ্ট হয়েছে। দুর্গম এলাকায় শুমারি করা বেশ কষ্ট ছিল। অবশেষে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় শুমারির প্রতিবেদন তৈরি সম্ভব হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, এসব শুমারি সম্ভব হলে প্রত্যক বছর প্রকাশ করা দরকার। শুমারি চলাকালে পুলিশ পক্ষ থেকে অতীতের ন্যায় আগামীতে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা করা হবে।
সেমিনারে অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ রাঙামাটি জেলা প্রতিবেদন প্রকাশনার উপর একটি বই উন্মোচন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)