ঢাকাটাইমসের সংবাদে কার্ড পেলেন ববিজান

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৪৭ | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৩৫

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বীরাঙ্গনা ববিজান বেগম। এ কারণে স্বামীও তাকে ছেড়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন। বয়স্ক বা বিধবা ভাতা কিংবা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাননি তিনি। সম্প্রতি তাকে নিয়ে ‘মির্জাপুরের বীরাঙ্গনা ববিজানের দুঃখ গাঁথা’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের। এর পর নির্বাহী কর্মকর্তা তার খোঁজ খবর নিয়ে বয়স্কভাতার কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

আজ বুধবার সেই কার্ড বুঝিয়ে দেয়া হয় বীরাঙ্গনা ববিজান বেগমকে। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ তার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তোলে দেন। এসময় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আকতারুজ্জামান খান, পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায়, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাসিব খান উপস্থিত ছিলেন।

বীরাঙ্গনা ববিজান বেগম উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আরাদন আলীর মেয়ে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একদিন পাকবাহিনী তাদের গ্রামে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বিএসসিসহ আরও কয়েকজনের বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিনই পাক বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ববিজানসহ আরও কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা হওয়ার অপরাধে স্বামীর সংসার ছাড়তে হয় তাকে। বর্তমানে সরকারি জমিতে ঘর তুলে থাকেন তিনি। ঢাকাটাইমসে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বৃদ্ধা ববিজানের খোঁজ খবর নেন ইউএনও। তাকে একটি কম্বল ও একটি বিছানার চাদর দেন। ওই সময় এক সপ্তাহের মধ্যে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

আজ সকালে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়ে উচ্ছসিত ববিজান ঢাকাটা্ইমসকে বলেন, দীর্ঘদিনেও কেউ আমার কোনও খোঁজ নেয়নি। সাংবাদিক লেখার পর অনেকেই খোঁজ খবর নিচ্ছে। তিনি ঢাকাটাইমস প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনের জন্য মনভরে দোয়া করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, ঢাকাটাইমসের প্রতিবেদনটি পড়ে ববিজান সম্পর্কে জেনেছি। যেহেতু তার বয়স ৬২ বছর হয়েছে, তাই তাকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড দেয়া হলো। তিনি যাতে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান সে ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :