মির্জাপুরে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আ:লীগ প্রার্থীর পরাজয়

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
 | প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৭

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে জয় পেলেন বিএনপির পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নেতা অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা হোসেন চৌধুরী। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।

এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে দল সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা হোসেন চৌধুরী উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গুনটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নেতা। গত বার সমিতি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দলের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বলে জানান অ্যাডভোকেট মোস্তফা।

মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা, বানাইল, ভাওড়া, ভাতগ্রাম, ফতেপুর, জামুর্কী, লতিফপুর, মহেড়া, উয়ার্শি ও বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়ন নিয়ে ৫নং (সাধারণ) ওয়ার্ড গঠিত।

এই ওয়ার্ডে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক (প্রস্তাবিত কমিটি) অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান হুমায়ূনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

কিন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম কবির ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক উয়ার্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হেল শাফি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া জাসদ নেতা মঞ্জুর রহমান মজনু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ফলে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা হোসেন চৌধুরী সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ও পান। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত (হাতি প্রতীক) অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান হুমায়ূন পেয়েছেন ৩৯ ভোট।

আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ হেল শাফি পেয়েছেন ৩৬, শামীম কবির ১০ ও মঞ্জুর রহমান মজুন পেয়েছেন ৪ ভোট। এছাড়া ২টি ভোট বাতিল হয়েছে বলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রাপ্তভোট মোট ৮৫। সম্মিলিতভাবে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান হুমায়ূন বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান।

মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির দাবি করে বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এই ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। তিনি দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, একক প্রার্থী করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নিলে তার সঙ্গে আমরা একমত পোষন করব।

(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :