‘বিনা দোষে আমাকে পেটালেন এসআই’

প্রকাশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:১২ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:১৮

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে প্রকাশ্যে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। আহত চালক আবদুল আজিজ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার ঢাকাটাইমসের কাছে অভিযোগ করে চালক আজিজ বলেন, ‘আমাকে বিনা দোষে পিটিয়েছেন থানার এসআই শিব শংকর।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ভাটবাউর এলাকায় একটি সিএনজি স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিযে আব্দুল আজিজ বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি অটোরিকশা গ্যাস নিতে সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকায় কুইক ফিল সিএনজি স্টেশনে যান। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে একজন কনস্টেবলসহ এসআই শিব শংকর সেখানে গিয়ে তাকে লাঠিপেটা করেন। একপর্যায়ে আজিজ মাটিতে পড়ে গেলে এসআই ও কনস্টেবল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন আহত আজিজকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আজিজের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের আগ-তাড়াইল গ্রামে। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া-পাকুটিয়া সড়কে অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের এক ব্যক্তি তার অটোরিকশাটি ‘রিজার্ভ ট্রিপের’ জন্য ভাড়া করেন। এ জন্য তিনি মানিকগঞ্জ শহরে যাওয়ার আগে স্টেশনে গ্যাস নিতে যান।

আহত আজিজ সদর হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এই প্রতিবেদক শুক্রবার সেখানে গেলে আজিজ তার বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এসআই ও কনস্টেবল এসে লাঠি দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করেন। কেন মারছেন- জানতে চাইলে এসআই বলেন, ‘তোকে সংকেত দিলাম, থামলি না কেন?’ এরপর আবার পেটাতে থাকেন।

আবদুল আজিজ ঢাকাটাইসের কাছে দাবি করেন, থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা এলাকায় একটি অটোরিকশাকে সংকেত দিলে ওই চালক গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসতে থাকে। কিন্তু তাকে (আজিজ) ওই অটোরিকশার চালক ভেবে এসআই তার ওপর চড়াও হন। ‘কোনো কিছু না জেনেই বিনা দোষে আমাকে পিটানো হলো। আমি এর বিচার চাই।’ বলেন আজিজ।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই শিব শংকর। তিনি রাত সাতটার দিয়ে মুঠোফোনে ঢাকাটাইসকে বলেন, ‘মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষেধ। এই আইন লঙ্ঘন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করার সময় ভাটবাউর এলাকায় তাকে (আজিজ) থামতে সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু ওই চালক গাড়ি না থামিয়ে আমার পায়ের ওপর চাকা উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে দ্রুত কেটে পড়ে। এরপর মোটারসাইকেল নিয়ে তাকে ধাওয়া করে ওই সিএনজি স্টেশনের সামনে গিয়ে তাকে গালমন্দ করা হয়। কিন্তু পেটানোর অভিযোগ সত্য নয়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান ঢাকাটাইসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি জানতে ফোন করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/মোআ)