‘নেত্রীর প্রার্থীর পক্ষে থাকবো না কেন?’

প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৭

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে’ যে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সেই প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী মো. রমজান আলীর চেয়ে ১২১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭৬ ভোট। আর রমজান আলী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশিদা ফেরদৌস অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনকে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার পর সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ এসে বাসায় গিয়ে তার হাতে নৌকা প্রতীকের ফুলের স্তবক তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় গোলাম মহীউদ্দীন দুর্জয়কে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) সংসদ সদস্য আবু মো. নাঈমুর রহমান দুর্জয় জেলা পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালান। এ নিয়ে ঢাকাটাইমসে দুর্জয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ছবিসহ একাধিক নিউজ হয়।

এরপর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রমজান আলী সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে জেলা রিটার্নি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন রাশিদা ফেরদৌস বরাবর আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়ে ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের নিজ বাড়িতে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার ভোটারদের সাথে নির্বাচনী মিটিং শেষ করে রাতে ঢাকায় চলে যান।

এ বিষয় নিয়ে সাংসদ দুর্জয়ের সাথে ঢাকাটাইমসের কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘জননেত্রী (শেখ হাসিনা) যে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন আমি তার পক্ষে থাকবো না? এটি কি হয়।’ তিনি বলেন, ‘রমজান আলীকে মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেন তখন পৌর এলাকায় থাকা আমার আত্মীয়-স্বজনদের বলেছি তাকে ভোট দিতে।’

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনি সরাসরি মাঠে থেকে গোলাম মহীউদ্দীনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন, এ ব্যাপারে নিউজ হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘আমি মাঠে গিয়ে ভোট চাইনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে গিয়েছি। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পরেছে কি না জানি না। তবে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়ায় আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছি।’

আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন তো বিজয়ী হলেন আপনার প্রতিক্রিয়া কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন অনেক ভালো লাগছে। আমি আনন্দিত।’ তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী প্রয়োজন ছিল, আমরা পেয়েছি।’ গোলাম মহীউদ্দীন নির্বাচিত হওয়ায় মানিকগঞ্জের অনেক উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)