মহিলালীগ কর্মীদের লাঠিপেটা-শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৫ | প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৪৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক নারী ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় অন্তত ২৫ জন মহিলালীগ কর্মী আহত হন। তাদের অনেকেই শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

রবিবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর নিলা মার্কেটে ঘটে এ ঘটনা। হামলাকারীরা কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় ছবি ভাঙচুর করেছ বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলা।

প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলাসহ তার লোকজনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আলমাছ মেম্বারসহ তার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিলো। আজ বিকালে স্থানীয় ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই বিতরণ করছিলেন ফেরদৌসি আলম নিলা। অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ মহিলালীগ নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বই বিতরণের শেষ পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে আলমাছ মেম্বারের নেতৃত্বে মাসুম মিয়া, আনোয়ার পাগলা, মুজা মিয়া, সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, সালাউদ্দিন, কবির হোসেন, সামসুল হক, মজনুসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল লোক দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিলা মার্কেটে অবস্থিত ফেরদৌসি আলমের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ দলীয় ছবি ভাঙচুর করে ও উপস্থিত মহিলা লীগ কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে লাকি বেগম, মনোয়ারা বেগম, রেহেনা বেগম, সাকিরুন, পারুল আক্তার, দিপালী, মাসুদা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, লাইলি বেগম, হেলেনা বেগম, পারভিন আক্তার, মোসাম্মত বেগম, বিলকিস, খাদিজা আক্তার, ফেরদৌসি আক্তার, হেলেনা আক্তার, রতœা আক্তার, উম্মে হানি, হাসি বেগম, সাথী আক্তারসহ অন্তত ২৫ জন মহিলালীগ কর্মী আহত হন । আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মহিলালীগ কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের শুধু লাঠিপেটায় নয়, শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। তারা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে, হামলা চলাকালীন সময়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এতে করে রাজধানীসহ আশ-পাশের এলাকায় আগত নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু কিশোররা ছুটাছুটি করতে শুরু করেন। দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীদের মহড়ায় পুরো নিলা মার্কেট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে, প্রতিপক্ষ আলমাছ মেম্বার ও আনোয়ার পাগলা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রধানমন্ত্রীসহ দলীয় ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি মিথ্যা। ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজনই ভাঙচুর করে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এছাড়া মহিলালীগ কর্মীরা স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এর প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল বলেন, দলীয় কার্যালয়ে যারা মহিলালীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত ও শ্লীলতাহানি করেছে, তাদের কঠিন বিচার করতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :