বাজাজের শক্তিশালী রেসিং বাইক
ভারতের বাজারে বাজাজ সম্প্রতি নতুন একটি বাইক এনেছে। মডেল ৪০০। ডিস্ক ব্রেক ভার্সনের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১.৩৬ লক্ষ রুপি এবং এবিএস ভার্সনের দাম ১.৫০ লক্ষ রুপি। এই মুহূর্তে বাজাজ অটো ব্র্যান্ডের সবচেয়ে শক্তিশালী বাইক হিসেবেই প্রচার করা হচ্ছে এই প্রিমিয়াম বাইকটিকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই নতুন এই বাইকটির সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড, কেটিএম ২০০/ ৩৯০ ডিউক, নতুন মাহিন্দ্রা মোজো এবং সদ্য নতুন রূপে আপডেট হওয়া হোন্ডা সিবিআর২৫০আর। যারা সাধ্যের মধ্যে একটা ভাল পারফরম্যান্স ট্যুরার চাইছেন, তাদের কাছে এই বাইকটির খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাজাজের নতুন এই বাইকটির অ্যাসেম্বলি লাইন ছিল শুধুমাত্র মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে তৈরি। অর্থাৎ এই বাইকের ফাইনাল অ্যাসেম্বলিং করেছেন মহিলা ইঞ্জিনিয়াররা। কোম্পানির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় তো বটেই।
‘ডমিনার’ নামটির উৎপত্তি স্পেনীয়। বাংলায় এই শব্দের অর্থ দাঁড়ায় অতুলনীয় শক্তি বা শক্তির দিক থেকে অভূতপূর্বভাবে এগিয়ে থাকা। ঠিক এইভাবেই বজাজ তাদের নতুন স্পোর্টস ক্রুইজার বাইকটিকে দেখতে চায় এবং অবশ্যই দেখাতেও চায়।
উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন স্পোর্টসবাইকে যারা ভাল কমফর্টও আশা করেন, তাদের কথা মাথায় রেখেই বাইকটি ডিজাইন করা। পালসার এবং অ্যাভেঞ্জারের মতোই বাজাজ অটোতে একটি সম্পূর্ণ নতুন সিরিজের সূচনা করল এই বাইক।এতদিন বাজাজ যতগুলি বাইক বাজারে এনেছে, তার মধ্যে ডিজাইন ও লুকসের দিক থেকে সেরা বলা যায় ডমিনার ৪০০-কে। বাজাজের এটি প্রথম মডেল যেখানে ফুল এলইডি হেডলাইটস রাখা হয়েছে। এমনকী, এই প্রথম বাজাজ-এর কোসো বাইকে ডিজিটাল এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ব্যবহার করা হল। ২০১৪ সালের অটো এক্সপো-তে শোকেস করা কনসেপ্ট ভার্সনে এই ক্লাস্টার ইউনিটটি যেমনটা দেখা গিয়েছিল, তার চেয়ে একটু আলাদা নতুন এই বাইকে। ট্যাকোমিটার, ওডোমিটার, স্পিডোমিটার, ফুয়েল গজ, ক্লক, এবিএস ইন্ডিকেটর— রাইডাররা এই সব তথ্য পেয়ে যাবেন এই ক্লাস্টারে।
এবছরের এপ্রিল মাস থেকে দেশে টু হুইলার সেফটি প্রোটোকলে বেশ কিছু বদল আসতে চলেছে। অনেক নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। নতুন সেফটি প্রোটোকলটি অক্ষরে অক্ষরে মেনেই ডিজাইন করা হয়েছে ডমিনার ৪০০। অটোমেটিক হেডল্যাম্প, ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম ছাড়াও এই বাইকে রয়েছে বিএস ফোর।
এবার আসা যাক এই বাইকের পাওয়ার অ্যাসপেক্টের প্রসঙ্গে। কেটিএম ডিউক ৩৯০ ইঞ্জিন আর ডমিনার ৪০০ ইঞ্জিনের মধ্যে একটাই পার্থক্য এবং তা হল এফিসিয়েন্সির। কেটিএম ৩৯০ ইঞ্জিনের ব্রেক হর্সপাওয়ার ৪৩ কিন্তু ডমিনার ৪০০-র ব্রেক হর্সপাওয়ার ৩৫। তাই নতুন ডমিনারের লিনিয়র পাওয়ার ডেলিভারি অনেকটাই ভাল ডিউক ৩৯০-র তুলনায়। ডমিনারের ইঞ্জিনটি এমনভাবেই রিটিউন করা হয়েছে। ট্যুরিংয়ের জন্য তাই এই বাইকটি অত্যন্ত ভাল। তা বাদ দিয়ে ডমিনার ৪০০-এ রয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং মনোশক সাসপেনশন সেটআপ। এছাড়া বাইকটির সামনে ও পিছনে রয়েছে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস-সহ উচ্চশক্তিসম্পন্ন ডিস্ক ব্রেক।
(ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/এজেড)