পাঁচ লাখ টাকার জন্য থানায় নির্যাতনের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:১১

ঝালকাঠিতে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেন আদানানকে পুলিশ চুরির মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। জেলার রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) মুনীর উল গিয়াস এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রটির পরিবার। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ওই কলেজ ছাত্রের ছোট ভাই কামরুল হাসান মুরাদ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তার ভাই স্থানীয় বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ইমরানকে গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ১১ টার দিকে থানায় ডেকে নেন পুলিশ কর্মকর্তা মুনীর উল গীয়াস। এ সময় তার সঙ্গে যান মুরাদও।

মুরাদ জানান, তাদেরকে থানায় আটকে রেখে আদনানকে বেধরক পেটায় পুলিশ। পাঁচ লাখ টাকা দিলে আদনানের জীবন ভিক্ষা দেয়া যাবে, অন্যথায় ক্রসফায়ারে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তা মুনীর। মামধরের এক পর্যায় আদনান জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বাসা থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিলে মারধর থামে।

মুরাদ বলেন, তাদেরকে আটকে আদনানের কাছ থেকে তার পূবালী ব্যাংক রাজাপুর শাখার (হিসাব নং ৭১৪০৪৫৫) অনুকূলে একটি চেকের পাতায় টাকার অংক ফাঁকা রেখে সই করিয়ে নেন পুলিশ কর্মকর্তা। পরদিন একটি চুরির মামলায় আসামি দেখিয়ে আদনানকে আদালতে দেয় পুলিশ।

মুরাদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই উল্লেখ করে ৫ ডিসেম্বর পুলিশ প্রত্যায়ণপত্র দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় দুদিন পর তাকে চুরির মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।’

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার দেখানো কলেজছাত্র আদনানের মা তাছলিমা বেগমও উপস্থিত ছিলেন।

তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পুলিশ কর্মকর্তা শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ তিনি বলেন, টাকা নেয়া বা চেকে সই করিয়ে নেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। একটি চুরি মামলায় বাদীর সন্দেহের অভিযোগে আদনানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। বরং জিজ্ঞাসাবাদের আগে সে অসুস্থতার ভান ধরেছিল।’

ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :