গউছের মুক্তিতে হবিগঞ্জ বিএনপিতে প্রাণের সঞ্চার

আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:১০ | প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:০৯

হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছ দীর্ঘ দুই বছর পর মুক্তি পাওয়ায় দলটিতে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনার। কারাগারে রেখে মেয়র নির্বাচিত করা গউছকে না পেয়ে নিজেদের অনেকটা অভিভাবকহীন মনে করছিল পৌরবাসী। গউছের কারামুক্তির পর প্রথম দুদিন কেটেছে কুশল বিনিময়ে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও পৌর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তারা ফুল দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই বছর ৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার রাতে সিলেট কারাগার থেকে মুক্তি পান আলহাজ্ব জিকে গউছ। মুক্তির পর তিনি মধ্যরাতেই হবিগঞ্জ পৌঁছান। এবার তার পৌরসভার দায়িত্ব নেয়ার পালা। হবিগঞ্জে ফিরে প্রথমেই তিনি মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন। তার ফিরে আশার মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ প্রতিটি অংগ-সংগঠনেই বিরাজ করছে চাঙ্গাভাব ও উৎসবের আমেজ।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামিভুক্ত হন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছ। ওই বছরই ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন থেকেই কারাগারে আটক ছিলেন তিনি।

২০০৪ সালে প্রথম দফায় তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহকে পরাজিত করে তিনি বিজয়ী হন।

২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় তিনি কারাগারে আটক থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।

তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। ২০১৪ সালে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে জেলায় বিএনপি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে। দলের অঙ্গসংগঠনগুলোর ভাঙনও বাড়তে থাকে। দলের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। কয়েকটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে দলের কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। তার মুক্তিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। তিনি এসেই দলকে সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন তারা।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. এনামুল হক সেলিম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার বার বার নির্বাচিত মেয়রকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। তার মুক্তিতে আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, তার মুক্তি সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে। আগামী দিনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা আশা করি ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী দিনের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে পারব।

এ ব্যাপারে জিকে গউছ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। বিনা অপরাধে আমাকে দুই বছরের অধিক সময় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। আমি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। এখন আমার দায়িত্ব নিতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে আদালতের আশ্রয় নেব। আইনের মাধ্যমেই আমি পৌরবাসীর দায়িত্ব নেব। কারণ পৌরবাসী আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। চরম বিপদের সময় তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি হবিগঞ্জ পৌরবাসীর কাছেও কৃতজ্ঞ।

(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :