ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা পদে জামাতা কুশনার

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:২৯ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে তার জামাতা জ্যারেড কুশনারের নাম ঘোষণা করেছেন।

৩৫ বছর বয়স্ক কুশনার নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখবেন।

নির্বাচনী প্রচারণার দিনগুলোতেই ক্রমশ ট্রাম্প শিবিরের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে সামনে আসতে থাকেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়া থেকে শুরু করে ট্রাম্পকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করা পর্যন্ত বহুমুখী দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ২০০৯ সালে ইভাঙ্কাকে বিয়ে করার পর থেকেই ব্যবসা ও রাজনীতিতে শ্বশুরকে ছায়ার মত সঙ্গ দেন কুশনার। তার ‘রাজনৈতিক প্রজ্ঞা’র ওপর ট্রাম্পের অগাধ আস্থা। গত মে মাসে ইন্ডিয়ানা প্রাইমারির সময় কুশনারকে পাশে রেখে পরিচয় করে দেন ট্রাম্প। বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, জ্যারেড আবাসন ব্যবসায় বেশ সফল। যদিও আমার মনে হয়, আবাসন ব্যবসার চেয়ে রাজনীতি সে অনেক বেশি পছন্দ করে।... সে রাজনীতিতেও বেশ ভালো।’

উল্লেখ্য, ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী কুশনার নিজেও ট্রাম্পের মতোই আবাসন ব্যবসায়ী এবং তার আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের স্বজনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে আইন রয়েছে। বিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট তার নিকটাত্মীয়দের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারেন না। সেই আইন এবং স্বার্থের সংঘাতের সম্ভাবনা উল্লেখ করে ঘোষণার পরপরই ডেমোক্রেটরা এই নিয়োগ পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিচার বিভাগ এবং সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেসের বিচার বিষয়ক কমিটি।

ট্রাম্প তার জামাতা কুশনারকে ‘বিশাল সম্পদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রশংসা করেন ট্রাম্প বলেন, ‘তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বস্থানীয় কাজ দিতে পেরে গর্বিত।’

এদিকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনেরা মনে করেন, আত্মীয়দের সরকারি চাকরি দেয়ার বিরুদ্ধে যে আইন রয়েছে সেটি হোয়াইট হাউজের চাকরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল নৈতিকতা আইন রয়েছে, যার ফলে সরকারি চাকুরীজীবীরা কোন ব্যবসা থেকে লাভ নিতে পারেন না।

২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা বলে আগে থেকেই আলোচিত ছিলেন কুশনার। বলা হয়, কুশনারের পরামর্শেই ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম থেকে বাদ পড়েন নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। এছাড়ও ট্রাম্প শুরুতে নাকি বেননকেই চিফ অব স্টাফ করতে চাইছিলেন। তবে পরে কুশনারের হস্তক্ষেপে মতামত পাল্টেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জামাতার কথা মেনে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি –আরএনসির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রিয়েবাসকে চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। (ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/জেএস)