মির্জাপুরে পাঁচ বছর ধরে মেডিকেল অফিসার নেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর প্রতিনিধি
| আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৫৩ | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৮

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত পাঁচ বছর ধরে মেডিকেল অফিসার নেই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মেডিকেল অফিসারবিহীন এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি হলো মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের গলচড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল অফিসার না থাকায় ওই এলাকাবাসী সরকারি ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দিলেও অধিকাংশ সময় তারা গরহাজির থাকেন। কিন্ত এত দীর্ঘদিন ধরে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি মেডিকেল অফিসারবিহীন থাকেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োজিত মেডিকেল অফিসার ডা. এজাজুল ইসলাম গত ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি প্রেষণে অন্যত্র চলে গেল ২০১৬ সালের ৭ জুন পর্যন্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি মেডিকেল অফিসারবিহীন থাকে। একই বছরের ৮ জুন ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান ডাক্তার শাহানাজ মিজান। তিনিও একই বছর ৫ জুলাই ছয় মাসের জন্য প্রেষণে যান। ফলে গলচড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি গত পাঁচ বছর ধরে মেডিকেল অফিসারবিহীন রয়েছে। বর্তমানে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি একমাত্র উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ড দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। একজন পিয়ন ছিলেন তিনিও কিছু দিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটিতে সেবা পাওয়ার জন্য এসে থাকেন। কিন্ত মেডিকেল অফিসার না থাকায় তারা সরকারি ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

আমরাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, কামারপাড়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন গিয়াস, গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা, সোলাইমান, আলম হোসেন, সফিকুল ইসলাম, রবিন আহমেদ প্রমুখ এলাকাবাসী জানান, মেডিকেল অফিসার না থাকায় এলাকার লোকজন সরকারি ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বঞ্চিত হচ্ছে।

এছাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে বাথরুম ও টিউবওয়েল নেই। দরজা-জানালাও ভাঙাচূড়া। পরিষ্কার পরিচ্চতার অভাবে সব সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে বলে তারা উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহারিয়ার মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রেষণ শেষ হলেই ওই কেন্দ্রের নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার শাহানাজ মিজান যোগদান করবেন বলে তিনি ঢাকাটাইমসকে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :