সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১১ বিষয়: আ. লীগ

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:১২ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মোট ১১টি বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে এই বিষয়গুলো তুলে ধরেছে দলটি।

বুধবার বিকালে বঙ্গভবনে এই সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিকাল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই সংলাপ শেষে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ইভিএম চালু, নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আইন করাসহ মোট চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তারা।

এই প্রস্তাব চারটি হলো, ক. সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ। খ. রাষ্ট্রপতি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। গ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়েগের লক্ষ্যে সম্ভব হলে এখনই একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন অথবা অধ্যাদেশ জারি করা। আর সময় সময় স্বল্পতার কারণে  তা সম্ভব না হলে পরের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় তা বাস্তবায়ন করা এবং ঘ. ই ভোটিং প্রবর্তন।  

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১১ বিষয়

আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে এও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো:

১. একটি স্বাধীন ও কার্যকরী নির্বাচনী প্রশাসন।

২. নির্বাচন কালীন সময়ে নির্বাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/সংস্থার দায়িত্বশীলতা।

৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ।

৪. ছবিযুক্ত একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা এবং ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা।

৫. নির্বাচন পরিচালনায় বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পরিবর্তে কেবল মাত্র প্রজাতন্ত্রের প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা/কর্মকারীদের প্রিজাইডিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ।

৬. আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ।

৭. দেশি বিদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের নির্মোহ তৎপরতা।

৮. নির্বাচনে পেশি শক্তি ও অর্থের প্রয়োগ বন্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকল পর্যায়ের ভোটারের অবাধ ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করা।

৯. নির্বাচনের পূর্বে এবং পরে এবং নির্বাচনের দিন ভোটারসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

১০.  নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে আবশ্যকীয় সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের তত্বাবধানে ন্যস্ত করা।

১১.  নির্বাচন কালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যকীয় দৈনন্দিন (রুটিন) কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/টিএ/ডব্লিউবি