ইসি পুনর্গঠন নিয়ে মতৈক্যের আশা আ.লীগের

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতৈক্য হবে বলে আশা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবঅয়দুল কাদের বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা ভালো কিছুই আশা করছেন।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে বুধবার বিকালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে যায় সংলাপে অংশ নিতে। বিকাল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির ইসি গঠনের সংলাপ শেষ হলো। গত ১৮ ডিসেম্বর দেশের অপর প্রধান দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগ। এরপর জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ দেড় ডজন দলের সঙ্গে ইসি পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সব দলের সঙ্গে মতৈক্য হওয়ার বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সালিশ মানি তালগাছটা আমার’ এমন মানসিকতা নিয়ে কেউ বসে আছে কি না আমরা তো তা এখন বলতে পারছি না। তবে উই আর হোপিং দ্য বেস্ট।’

আওয়ামী লীগের প্রস্তাব প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি কোনো অভিমত দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যা করবেন সংবিধানের আলোকেই করবেন। তিনি তো এখন কোনো রিঅ্যাকশন দেখাবেন না। আমরা বুঝতে পারলাম তিনি (রাষ্ট্রপতি) হয়তো আরও কয়েকটি দলের সাথে আলোচনা করবেন। সব দলের প্রস্তাব মিলিয়ে একটা বিবেচনায় আানবেন তিনি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। তবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ যা বলবে রাষ্ট্রপতি তা-ই করবেন। আমরা কিন্তু বলেছি আওয়ামী লীগ সংবিধান এবং দেশের বিরাজমান সব আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সুবিচেনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ন্যায়সঙ্গত যেকোনো উদ্যোগের প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিচারিতা নেই।’

ইভিএম প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এইচটি ইমাম বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা ব্যবহার করার প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি যে ইভিএম আমাদের দেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই জন্য আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি। ইভিএমে নির্বাচন অনেক স্বচ্ছ হয়, গ্রহণযোগ্য এবং নিরেপক্ষতা নিয়ে প্রশ্নই ওঠে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দীপু মণি, জহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, মুকুল বোস, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আমিরুল আলম মিলন, রিয়াজুল কবীর কাওছার, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/টিএ/মোআ)