‘ক্যাম্পাসে পড়ি, ক্যাম্পাসে খাই’

লেখা ও ছবি: শেখ সাইফ
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৩৪

একই কক্ষের চার বিছানায়, আটজনের বসতি। ঘুম থেকে উঠে কেউ ক্লাসে, কেউবা পাঠাগারে। এসব করে কখন যে বেলা চলে যায় তা টেরই পাওয়া যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক অনেক শিক্ষার্থীর বেলায়ই এটা প্রতিদিনের ঘটনা। হলগুলোর ক্যান্টিন আর আশপাশের টং-দোকানের কর্মীরা তাদের আপনজন। একেবারে ‘মামা-ভাগ্নে’ সম্পর্ক। শিক্ষার্থীরা রোজকার ভোজ সারে তাদের খাবারে-দাবারে। সকালের তালিকায় থাকে ডিম ভাজি, খিচুরি, পরোটা, টোস্ট, বনরুটি, কলা, চা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবার দুপুর কাটে ক্যাম্পাসে। মধ্যাহ্নভোজ সারতে হয় এখানেই। লাইব্রেরির পাশেই কয়েকটি খাবার দোকান। খাবার তালিকায় কী থাকে? তা অবশ্য চেখে দেখা তরুণ-তরুণীদের দেখলেই আঁচ করা যায়। তেহারি বিরিয়ানির চাহিদা খুব বেশি। কেউ আবার খাচ্ছেন ডিম-খিচুরি, কেউবা পাকোড়া। রোল, ডিম চপ, আলুর চপ, শিঙ্গাড়া, সমুচা, পুরিও চলছে সমানে। জ্যুস, নুডলসও বেচাবিক্রি হয়। দোকানগুলোর বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়া আর আড্ডা দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কিনে নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে খাবেন, এমন খদ্দেরও কম নেই।

‘দুপুরে হলে গিয়ে খেতে হলে সময়ের অনেক অপচয় হয়। তাই দুপুরের খাবার এখানেই খেতে হয়। ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যেই খাওয়া যায়।’ বলছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান। ভর দুপুরে লাইব্রেরির সামনে খাচ্ছিলেন তিনি।

এসএম হলের ফেরদৌস আহমেদ মাস্টার্স শেষ করেছেন। বিসিএসেএর জন্য চেষ্টা করছেন। তিনিও দুপুরে এখানেই খান। পেটে সমস্যা হয় না, জানতে চাইলে ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের খেতে খেতে অভ্যাস হয়ে গেছে। আগে অবশ্য পেটের সমস্যা দেখা দিত। তবে দুপুরে এখান থেকে হালকা খাবার খাই।’

কথা হয় কলাভবনের পাশে শ্যাডো নামে খাবারের দোকানের বয় সাইদুলের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমাদের এখানে চা, কফি, কলা, রুটি, ডালভাজি, সবজি এসবই বেশি বিক্রি হয়।’ দুপুর বেলা যা খাবার তৈরি করা হয় তার সবই বিক্রি হয়ে যায় বলে তিনি জানান।

ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এসএস/টিএমইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :