সরকারের আট বছর: সর্বোচ্চ আদালতে যুগান্তকারী যত রায়

মোসাদ্দেক বশির, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:০৯ | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:৪৬

২০০৯ সাল থেকে টানা আট বছর ক্ষমতায় থাকাকালে সর্বোচ্চ আদালতে বেশ কিছু যুগান্তকারী রায় এসেছে। এর মধ্যে কিছু রায় সাংবিধানিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কিছু রায় রাজনীতির গতি প্রকৃতিই পাল্টে দিয়েছে।

আবার এই সময় ঝুলে থাকা বেশ কিছু রায়ের নিষ্পত্তি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। কার্যকর হয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজা। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও চলছে এই সময়েই।

এবার দেখে নেয়া যাক যুগান্তকারী কী কী রায় এসেছে উচ্চ আদালত থেকে

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজার রায়

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এই পাঁচ জন হলেন বজলুল হুদা, মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদ।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তত্কালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল মামলার রায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। কিন্তু এই বিচারের রায় কার্যকর আটকে থাকে নানা জটিলতায়। অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর উচ্চ আদালতে বিচার গতি পায়। এই বছরের ১৯ নভেম্বর ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। এরপর আসামিদের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর ২০১০ সালে কার্যকর হয় বহুল প্রতীক্ষিত দণ্ড্

জেল হত্যা মামলার রায়

২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে আপিল বিভাগ থেকে। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল বহিষ্কৃত দুই সেনা সদস্য দফাদার আবুল হাশেম মৃধা ও দফাদার মারফত আলী শাহকে নিম্ন আদালতে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার প্রায় পৌনে তিন বছর পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামি মোসলেম উদ্দিন (পলাতক),মারফত আলী শাহ (পলাতক) ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধাকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামি সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেয়। খালাস পান যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদও।

পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়ার রায় বাতিল করে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ২০১১ সালের ১০ মে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের সঙ্গে রায় প্রদানকারী বাকি ছয় বিচারপতির মধ্যে তিনজন তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তবে এর আওতায় আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে মত দেয়া হয়।

আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির ওই রায়কে ভিত্তি ধরেই সংবিধান সংশোধন করে মহাজোট সরকার, যাতে বিলুপ্ত হয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের চাপে অনীহা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধান সংশোধন করে বিএনপি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজনের রিট আবেদনে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রিট আবেদনকারী পক্ষ।

পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ

২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে।

২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের ফরমান অবৈধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছরের ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ এবং সামরিক শাসন জারি অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি হিসেবে উল্লেখ করেছিল আদালত। তবে আদালত ওই সময়ে রাষ্ট্রপতি বা সামরিক আইন প্রশাসকের জনকল্যাণমূলক কাজগুলোকে সমুন্নত রাখে।

২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল হকের একটি রিট আবেদনের রায়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে।

রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের বৈধতা

সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখে হাইকোর্ট থেকে রায় আসে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ। সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগের রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংক্রান্ত রিটকারীদের আবেদনের ‘অধিকার’ (লোকাস স্টান্ডি) নেই বলে আদেশে উল্লেখ করেছে আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রীটকারীরা। আগামী ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার‌্য রয়েছে।

রিট মামলটি করা হয়েছিলো ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে মারা গেছেন। ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়। এতে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে।

এর বিরুদ্ধে রিট দায়েরের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওইদিনই বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে। পাশাপাশি শুনানির জন্য অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এ রুল জারির কিছুদিন পর একই বছরের ২৫ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়। এতে ২ অনুচ্ছেদ আবারও সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। এ সংশোধনীর পর আবারো সম্পূরক আবেদন করা হয়। এ আবেদনের পর ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সম্পূরক রুল জারি করে। এরপর এ রুলের ওপর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সোমবার হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে।

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত বর্তমান সরকারের আমলে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে মামলাটির বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এর শুনানি হবে।

গত বছরের ১১ আগস্ট ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, বাতিল ও সংবিধানপরিপন্থি ঘোষণা করে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনসভার কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। দেশের সংবিধানেও শুরুতে এই বিধান ছিল। তবে সেটি ইতিহাসের দুর্ঘটনা মাত্র।

১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারনের ক্ষমতা দেয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে পারবে না এমপিরা

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ধারাকে বাতিল করে হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের ফলে সংসদ সদস্যরা অভিভাবকদের ছোট ছাড়া ইচ্ছা করলেই স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হতে পারবেন না। হাইকোর্টের দেয়া এ আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রাখে।

মধুমতি মডেল টাউন অবৈধ

রাজধানীর অদূরে সাভারের আমিনবাজারে গড়ে ওঠা মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। ২০১২ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

বন্যা-প্রবাহ এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর এবং রাজউকের অনুমোদন ছাড়া মেট্রো মেকার্স ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং প্রকল্প গ্রহণ করে। নিচু ভূমি ভরাট করে ওই প্রকল্পে প্লট বিক্রি শুরু করে তারা। এ অবস্থায় প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বেলা।

আবেদনে বলা হয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকায় নালা ও নিচু জমি দেখিয়ে মধুমতি মডেল টাউনে গ্রাহকের কাছে প্লট বিক্রি করে। এই গ্রাহকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচশ একর নিচু জমিতে মাটি ভরাট শুরু করে। অথচ বন্যা-প্রবাহ এলাকায় এই মাটি ভরাট আইনত অবৈধ। এই প্রকল্প গ্রহণের আগে তারা রাজউক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে অনুমোদনও নেয়নি।

হাইকোর্ট এ আবেদনের পর প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি প্লট গ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

২০০৬ সালে প্লট গ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বেলা এবং প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স এবং প্লট গ্রহীতারা ২০০৯ সালে আপিল করে।

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ

বর্তমান সরকারের আমলেই আপিল বিভাগ থেকে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় এসেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর করা আপিল আবেদন গত বছরের ২ জুন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ চার সদস্যের বেঞ্চ খারিজ করে দেন।

হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল খারিজ করায় বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আর বাধা থাকল না।

২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, রাজউকের অনুমতি ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আদালতের দৃষ্টিগোচর করা হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

জমির মালিকানা না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভবনটি ভেঙে ফেলতে রায় দেয়। জলাধার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলে বিচারকরা। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল করে। সেই আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :