হিটলারের বইয়ের বাজিমাত

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৬

প্রকাশ হওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলারের লেখা বই ‘মাইন কাম্ফ'-এর টীকা সংস্করণটির ৮৫ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে৷ প্রকাশক অবশ্য বলছেন, বইটির বেশিরভাগ ক্রেতা শিক্ষক এবং ইতিহাসপ্রেমী, ডানপন্থি নয়৷ খবর ডিডব্লিউর।

দুই খণ্ডের সংস্করণটি এক বছরে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে ৩ জানুয়ারি ঘোষণা করেন এর প্রকাশক৷ এই বইটির নাম ‘হিটলার, মাইন কাম্ফ: আ ক্রিটিকাল এডিশন', যা এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে৷ এতে বিস্মিত হয়েছেন প্রকাশক৷ প্রকাশনা সংস্থা মিউনিখের ইনস্টিটিউট ফর কনটেম্পোরারি হিস্ট্রি আইএফজেড জানিয়েছে, এ মাসের শেষেই বইটির ষষ্ঠ সংস্করণ বের করতে তারা৷ আইএফজেড-এর কর্ণধার আন্দ্রেয়াস ভির্সিং সংবাদ সংস্থা ডিপিএ কে জানিয়েছেন, ‘‘ঝড়ের গতিতে বই বিক্রি হচ্ছে৷ এমনটা আমি কেন কেউই আশা করেনি৷''

বহু বছর ধরে হিটলারের মূল বইটির উপর নানা মন্তব্য ও বক্তব্য জোগাড় করে আসছে প্রকাশনা সংস্থাটি৷ বর্তমান বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ১,৯৪৮ এবং এটির দাম ৫৯ ইউরো৷ ষষ্ঠ সংস্করণে চার হাজার কপি বের করার পরিকল্পনা আছে তাদের৷ বইয়ের বিক্রি যদি আগের মতোই অব্যাহত থাকে তবে আরও প্রিন্ট বের হবে বলে জানিয়েছে তারা৷ ২০১৬ সালের এপ্রিলে জার্মানির সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল' এ বেস্ট সেলার নন-ফিকশন বইয়ের তালিকার শীর্ষে ছিল এটি৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পর বাভারিয়ান রাজ্য সরকার হিটলারের ঐ আত্মজীবনীটির কপিরাইট নিষিদ্ধ করে দেয়৷ ২০১৫ সালে সেই নিষিদ্ধ সময় পেরিয়ে গেলে জার্মানিতে এই নতুন সংস্করণটি প্রথম প্রকাশিত হয়৷ নতুন এই বইটির প্রচারণার জন্য কেবল জার্মানি নয় পুরো ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করেছে প্রকাশনা সংস্থাটি৷ এটা যে নাৎসিবাদ বা ডানপন্থি মতাবাদ ছড়ানোর জন্য প্রকাশ করা হচ্ছে না সেটাও তুলে ধরা হয়েছে সেমিনারগুলোতে৷

আন্দ্রেয়াস ভির্সিং জানান, ‘‘অনেকের মনেই আতঙ্ক ছিল যে, এই সংস্করণটি হয়ত হিটলারের মতাবাদ ছড়িয়ে দেবে এবং নব্য নাৎসিদের উৎসাহিত করবে৷ কিন্তু এমনটা হয়নি৷'' এ কারণে প্রকাশনা সংস্থাটি বই ক্রেতাদের তথ্য রাখতে বলেছিলেন এবং ক্রেতাদের তালিকায় বেশিরভাগই এমন ছিলেন যাদের রাজনীতির বা ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ আছে, তবে এদের মধ্যে কোনো ডানপন্থিকে পাননি তারা৷

হিটলার তার নাৎসি মতাবাদ নিয়ে ‘মাইন কাম্ফ' লিখেছিলেন ১৯২৫ থেকে ২৬ এর মধ্যে কোনো এক সময়৷ ১৯২৩ সালে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় এটি লেখেন তিনি৷ ইংরেজিতে ‘মাই স্ট্রাগল' নামে ঐ বইটিতে জার্মানির রক্ষণশীল সমাজে নিজের চিন্তাভাবনার বিস্ফোরণ ঘটাতে এই বইয়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি, যেখানে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন জার্মানির ত্রাণকর্তা হিসেবে৷ গত ৭০ বছর ধরে জার্মানিতে হিটলার সম্পর্কিত সব ধরনের বই প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা ছিল৷-ডিডব্লিউ

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :