কুয়াকাটা বিচ কার্নিভালে অব্যবস্থাপনায় হতাশ পর্যটক

এসকে রঞ্জন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ২২:০৫

“মেতে উঠুন উৎসব, আনন্দ ও উল্লাসে-উপভোগ করুন স্ব-পরিবারে”, এই স্লোগান নিয়ে সাগর কন্যা কুয়াকাটায় প্রথম বারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিচ কার্নিভাল-২০১৭।

আগামী কাল ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এ কার্নিভাল নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।

সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি আর প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এ আয়োজন নিয়ে উচ্ছসিত ছিলেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও পর্যটকরাও।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ব্রান্ডিং, আলোকসজ্জা ও মঞ্চ তৈরির কাজ। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিচ কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

তবে পর্যটন করপোরেশনের বড়ো বাজেটের এই আয়োজনের সাদা মাটা সাজস্বজ্জা, প্রচারণাহীনতা ও সমন্বয়হীনতায় দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী এবং আগত পর্যটকরা।

প্রথম মেগা বিচ কার্নিভাল নাম থাকলেও কাপড়ের গেট আর সাদা মাটা আলোক সজ্জার মধ্যেই রয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি। অপরিচ্ছন্ন রয়েছে কুয়াকাটা বালুকাবেলা।

কার্নিভালের অনুষ্ঠান সূচিতে দর্শনার্থীসহ সকলের জন্য উম্মুক্ত বিচ ফুটবল, বিচ ভলিবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, ঘুড়ি উৎসব, বিভিন্ন রাইড, বারবিকিউ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব রয়েছে টুরিজন বোর্ডের ওয়েব সাইটে। কিন্তু, বিচের কোথায়ও দেখা যায়নি এর পোস্টার বা ফেস্টুন। ফলে পর্যটকরা রয়েছেন ধোয়াশার মধ্যে।

শুধু তাই নয়, হোটেল-মোটেলের ভাড়া ও খাবারের দাম নিয়ে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। সার্বিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে গণমাধ্যাম কর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা।

কার্নিভালের পরিস্থিতি নিয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কুযাকাটা বিচ কার্নিভালের যে পোস্টার, ফেস্টুন এবং আমন্ত্রণপত্র করা হয়েছে তাতে কোথাও নেই সাগরকন্যা কুয়াকাটার দৃশ্য। নেই কোনো ওয়াশরুম, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। অথচ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা গনমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারিনি অনুষ্ঠানে কি থাকছে। কোনো প্রস্তুতি সভাতেও অমন্ত্রণ করা হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদের।

বিচ কার্নিভালে আসা পর্যটক তুষার আহমেদ বলেন, আমি কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি বিচ কার্নিভাল দেখেছি, কিন্তু এখানাকার অব্যবস্থাপনা আমাকে বেশ হতাশ করেছে। কি কি ভ্রমণ প্যাকেজ রয়েছে তা জানতে পারছি না।

উৎসবে অংশ নিতে এরই মাধ্যে পর্যটকদের ভিড় জমেছে। খালি নেই হোটেল-মোটেল আর কটেজের কোনো কক্ষ। আর এ সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছেন হোটেল মালিকরা। পিছিয়ে নেই পর্যটকদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত খাবার হোটেল গুলো। সুযোগ বুঝে তারাও বাড়িয়ে নিচ্ছেন খাবারের দাম।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর ফসিউর রহমান বলেন, পর্যটকদের সকল ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :