চলতি বছর চাকরি পাবে ২৭ লাখ: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৫৯ | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:৪৫
ফাইল ছবি

প্রতি বছর দেশে ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে আসে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে চলতি বছর এর চেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর আশা এই বছর বিদেশে ছয় থেকে সাত লাখ আর দেশের ভেতর ২০ থেকে ২১ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।

রবিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে মন্ত্রী এ কথা জানান। এত চাকরি কীভাবে হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে প্রণোদনা দিলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাছাড়া স্থিতিশীল পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বড় বড় কোম্পানিগুলো ব্যবসা বাড়াবে। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের চেয়ে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসের সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।’

বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। এখানে সরাকরের পূর্বাভাস কীভাবে বেশি হয়-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক যে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, সেটিও ভালো । কারণ সংস্থাটি অতীতে এতো ভালো প্রজেকশন দেয়নি। তবে অতীতে দেখা গেছে তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি সব সময় বেশি হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানত জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের অভাবে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমেছে। কিন্তু অমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষি খাত যান্ত্রিকীকরণ করার।’

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিবি বাস্তবায়ন গতি পেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, গত ডিসেম্বরে এডিবি বাস্তবায়ন হয়েছে নয় হাজার ৯৩৩ কোটি টাকার।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০১৭ সালে আমাদের পরিকল্পনা হলো, একনেক সভায় যে প্রকল্পগুলো পাস হয় তা বাস্তবায়ন হয় কিনা- তা মনিটরিং করবো। আগে মনিটর করার ব্যবস্থা রাখা হতো না। ফলে এডিবি বাস্তবায়ন কম হতো।’ তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে যদি প্রণোদনা দিতে হয় তা দেব। এছাড়া জ্বালানিখাতে দুর্বলতা আছে। এটা অল্প সময়ে সমাধান হয়না। এর জন্য দুই থেকে পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ২৭ ট্রিলিয়ন গ্যাস মজুদ আছে। যার মধ্যে ১৪ ট্রিলিয়ন ব্যবহার হয়েছে। বাকি যা আছে তা দিয়ে আরও ১২ থেকে ১৩ বছর চলা যাবে। এই অবস্থায় জ্বালানি সমস্যা সমাধানে সরকার এলএনজি টার্মিনাল করছে। দুই থেকে তিনটি টার্মিনাল হলে আমাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এলপিজি গ্যাস দিয়ে গৃহস্থলী ও শিল্প কারখানা চলতে পারে। তবে এর জন্য এক বছর কষ্ট করতে হতে পারে।

গত অর্থ বছর বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স কমলেও দেশে টাকা আসার পরিমাণ কমেনি বলে দাবি করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বলেন, ‘সঠিক উপায়ে রেমিট্যান্স না এসে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। যা রেকর্ড হচ্ছে না। আবার অনেকে ক্যাশ টাকা না এনে স্বর্ণ আনছেন। যা পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করছে। ফলে এগুলো রেকর্ড না হওয়ায় মনে হচ্ছে রেমিট্যান্স কমেছে। তবে এ খাতে প্রণোদনা দিতে পারলে অবৈধ চ্যানেলগুলো বন্ধ হবে। আমরা ইতোমধ্যেই অবৈধ চ্যানেলগুলো শনাক্ত করেছি। কিন্তু কিছু কারণে সেগুলো প্রকাশ করা হবে না।’

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম এই মিট দ্য প্রেসে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :