তিন দিন ধরে হাসপাতাল মর্গে জালালের লাশ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৩৯

এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি

রায়পুরার নিলার চরে পুলিশের গুলিতে নিহত জালালের লাশ তিন দিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে। আইনগত জটিলতার কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের ভয়ে জালালের আত্মীয়-স্বজনও হাসপাতালে গিয়ে লাশের খোঁজখবর নিতে পারছে না।

জানা গেছে, রবিবার বিকেলে রায়পুরার নিলার চরের দড়িকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে বাউলগানের আয়োজনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে এলাকার ফকির-ভক্ত লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে জালাল মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি দেখে লাশ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে যাত্রা করে তার স্বজনরা। পথিমধ্যে জালালের মৃত্যু হলে তার লাশ  কয়েকজন নারী নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

মর্গ সূত্র জানায়, সেখানে অবস্থানরত হাসপাতালের ডোম রতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে লাশ গ্রহণ করেন। এরপর লাশের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানাকে অবহিত করলেও রায়পুরা থানা থেকে কেউ লাশের কাগজপত্র নেয় হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুরতহাল রিপোর্ট, ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট এবং চালান ছাড়া আইনগতভাবে লাশের ময়নাতদন্ত করার সুযোগ নেই।

এদিকে রায়পুরা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাউলগানের আয়োজকসহ ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে।

রবিবার রায়পুরার নিলার চরের দড়িপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে এলাকার ফকির ভক্ত জনতার সংঘর্ষের পর সোমবার নতুন করে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তবে এলাকার লোকজনের মধ্যে পুলিশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের সম্ভাব্য গ্রেপ্তার অভিযানের আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে এলাকার লোকজন। যারা গ্রামে রয়েছে, তারা সর্তক অবস্থায় পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্ করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/মোআ )