মন্দির ভাঙার মামলা ঘিরে বাণিজ্যের অভিযোগ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে হিন্দু মন্দির ভাঙার মামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের নামে বাণিজ্য শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বছর নাসিরনগরের হরিপুরে ফেইসবুকে পবিত্র কাবা শরিফকে অবমাননার একটি ছবি পোস্ট করা হয়। এরই প্রতিবাদে মাধবপুরের কয়েকটি এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলা সদরসহ বুল্লা, আদাঐর, বহরা ও আন্দিউড়া ইউনিয়নের সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও কয়েকটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়।
দাসপাড়ার ঘটনায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন মনোরঞ্জন। পুলিশ দুটি মামলায় ঘটনার প্রধান আসামিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। আর এ দুই মামলাকে কেন্দ্র করে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক পুলিশের নাম দিয়ে হরিশ্যামা গ্রামের নিরীহ মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করে নিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যায়।
আসামিদের মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ, গং-এ নতুন কাউকে গ্রেপ্তার বা আসামি না করার জন্য পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ওই গ্রামের এক মহিলাসহ সাত-আট ব্যক্তি গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। টাকা দেওয়ার কথা কাউকে জানালে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে হিতে বিপরিত করবে বলে হুমকি দিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতাদির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, পুলিশের নাম দিয়ে কেউ টাকা আদায় করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এস এম রাজু আহমেদ বলেন, পুলিশের নাম দিয়ে যে বা যারাই অপর্কম করবে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এমন কোনো কিছু করা হয়ে থাকলে দ্রুত এদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)