সৌদি আরবে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের স্কুলগুলো

আমীর চারু, রিয়াদ ( সৌদি আরব)
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৩০

সৌদি আরবের নতুন শিক্ষানীতির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে সে দেশে নয়টি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নতুন শিক্ষানীতিতে বিভিন্ন কমিউনিটি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নির্মাণের বাধ্যবাধকতার শর্ত জুড়ে দিয়েছে সৌদি সরকার। ইতিমধ্যে বেশকিছু নির্দেশনার শর্ত পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে চিঠি পাঠিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় ।

‘না লাভ-না ক্ষতি’র ভিত্তিতে ১৯৭৮ সালে সৌদিতে নয়টি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ সরকার । সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এসব স্কুল বাংলাদেশ শিক্ষা কারিক্যুলাম নীতিতে শিক্ষা দিচ্ছে। সৌদি আরবের বৃহত্তর শহর রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, আল কাছিম বুরাইদাহ, মদিনা, মক্কা ও তাবুকে প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলোর মধ্যে রিয়াদ ও জেদ্দায় ইংলিশ ও বাংলা শাখা রয়েছে। দাম্মামে ইংলিশ শাখা ও অন্যগুলোতে বাংলা কারিক্যুলামে শিক্ষা দেয়া হয়।

শুরু থেকে ভাড়া বাড়িতে সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিল স্কুলগুলো। পরে সৌদি শিক্ষানীতির শর্ত পূরণে স্কুলগুলো অভিভাবকদের হাতে ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। তখন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে স্কুলগুলো।

কেবল অভিভাবকদের অর্থে পরিচালিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলো সৌদির নতুন শিক্ষানীতির শর্ত পূরণে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। নিজস্ব জমি কেনা এবং ভবন তৈরির জন্যে প্রতিটি স্কুলের জন্য অন্তত ৩০-৩২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল আবশ্যক, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৭০ কোটি টাকা। এত টাকা জোগান দিয়ে অভিভাবকদের পক্ষে এক রকম অসম্ভব।

সৌদি সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী আগামী জুন মাসের মধ্যে নিজস্ব জমিতে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে ব্যর্থ হলে বন্ধ হয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর তা হলে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে চিন্তিত অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কমনা করছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :