শেষ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের জন্য ওবামার উপদেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দুই দফায় মেয়াদের শেষ দিন আজ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি শেষ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক, ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াসহ নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য দিয়েছেন উপদেশ বানী। শেষ দিনেও বেশি কিছু সমালোচনারও জবাব দিতে হয়েছে তাকে।
বিশেষ করে গোপন সরকারি নথিপত্র ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সেনা চেলসি ম্যানিংয়ের সাজা মওকুফ করে দেয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শেষ সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নই ছুড়ে দেয়া হয়েছে বিদায়ী এই প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের বহু দিনের শত্রু রাশিয়া সম্পর্কে ওবামা বলেন, ‘দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক খানিকটা সেই ঠাণ্ডা যুদ্ধের মতো রূপ নিয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিন আবারো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়কার সেই প্রতিপক্ষ মনোভাবের একটা পুরনো আঁচ যেন পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে দু পক্ষের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
ইসরাইল ফিলিস্তিন দুইরাষ্ট্র তত্ত্বের ভিত্তিতে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই দুটি পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল্যবান সুযোগ হারাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনারও জবাব দিতে হয়েছে বারাক ওবামাকে। গোপন সরকারি নথিপত্র ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সেনাসদস্য চেলসি ম্যানিংয়ের সাজা মওকুফ করে দেয়ার পর তার কড়া সমালোচনা করছে রিপাবলিকানরা। রিপাবলিকানদের অভিযোগ, ‘এর মাধ্যমে ভুল বার্তা দিলেন ওবামা।’
যদিও ওবামা মনে করেন, চেলসি ম্যানিংকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, সে তার অপরাধের দায়িত্বও নিয়েছে।৩৫ বছরের সাজা তার অপরাধের তুলনায় অনেক বেশি। তাই সাজা মওকুফের ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছেন বারাক ওবামা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায়ও বিজয়ী হন। শুরু থেকেই নানা বিরোধিতা ও সমালোচনার মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ওবামা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে তিনি ট্রাম্পকে কিছু উপদেশ বাণীও দিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি শুধু তাদের কথাই শোনেন যারা আপনার সব কথায় সায় দেয়, আপনি যদি এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেন যেখানে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভুল করতে শুরু করেছেন।’
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/জেএস)
মন্তব্য করুন