তিতাসের অভিযান: এবারও পার পেলেন অবৈধ সংযোগদাতারা
সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযানে আরো ১১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহকের আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। জব্দ করা হয়েছে ১১ হাজার মিটার নি¤œমানের পাইপ লাইনসহ ব্যবহৃত চুলা ও রাইজার। তবে এবারও এসব সংযোগদাতারা পার পেয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দক্ষিণ কলমা এলাকার এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ হলেও কাউকে সাজা দেয়া হয়নি।
গত ছয় মাসে সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাসের অভিযানে দুই লাখ দুই হাজার পাঁচশ টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংযোগদাতা কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিতাস গ্যাসের কর্মীরাও স্বীকার করেন, গ্যাসের বিপুল সংখ্যক সংযোগ সংস্থাটির কর্মীদের সম্পৃক্ততা ছাড়া দেয়া সম্ভব নয়। গ্রাহকরা জানান, এই সংযোগ দিয়েছেন কথিত ঠিকাদাররাই। কিন্তু তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় এক দিকে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ হলেও আবার পরে তা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক (বিপণন) সিদ্দিকুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, প্রতারক চক্রের নাম ও ঠিকানা সঠিক ভাবে নিশ্চিত হতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীরা জানান, তিতাস গ্যাসের স্থানীয় ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত রাজও ও আনোয়ারকে টাকা দিয়ে এসব সংযোগ নেয়া হয়েছিল। সংযোগ প্রতি তারা ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা কওে নিয়েছিলেন। এই টাকায় রাজু নিজস্ব মার্কেট তৈরি করে টাকার পাহাড় গড়েছে।
গ্যাসের সংযোগ কাটা হয়েছে এমন একাধিক ব্যক্তি জানান, দক্ষিণ কলমা এলাকায় কয়েক মাস আগে রাজু ও আনোয়ার নামে দুই জন বৈধ সংযোগ দেয়ার কথা বলেই টাকা নিয়েছিলেন। এরপর গ্যাস সংযোগ বৈধ হয়েছে মনে করেই তারা গ্যাস ব্যবহার করে আসছিলেন। তিতাস গ্যাস জানিয়েছেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি