স্বাধীনতার সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: বনমন্ত্রী
জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, স্বাধীনতার বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে। এ স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যদি আমরা তা না পারি তবে মানুষ বলবে মন্ত্রী হওয়ার জন্য তারা স্বাধীনতা চেয়েছিল। এর সূফল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই স্বাধীনতার স্বার্থকতা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পোঁনা নদীর ওপর (বরিশাল-ঝালকাঠী-রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া-পিরোজপুর সড়কের) ১৯৯.৪০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার (৪৬ তম) সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পূর্ব আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল, ভিটাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল করিম পান্ন, গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান চৌধুরী, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা, যুবলীগ আহবায়ক, এনামুল কবির টিপু, ছাত্রলীগের সভাপতি এহসাম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম কাইয়ুম, ছাত্র সমাজের সভাপতি শিমুল আকন, ছাত্র নেতা রাহাত জোমাদ্দার প্রমুখ। মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের ন্যায্য পাওনা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। ভাণ্ডারিয়ার মানুষও ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের ন্যায্য হিস্যা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ভাণ্ডারিয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা সারা পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত। আমাদের উদ্দ্যোগ ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের সহযোগিতায় ভাণ্ডারিয়া তথা দক্ষিণাঞ্চলের আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ভাণ্ডিারিয়ার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকার কারনে তা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সমীক্ষা চলছে। বাংলাদেশের যে কোনো উপজেলার চেয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা একটি ভালো উপজেলা বলে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে জনগনের বহু কাঙ্খিত পোনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে পেরে সকলের মতো আমি সত্যিই আনন্দিত। অচিরেই এর কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। মন্ত্রী তার বক্তব্যকালে ভালবাসার জন্মভূমি ভাণ্ডারিয়ার কথা বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)