বাণিজ্য মেলায় খাবার খেতে ভয়
বাণিজ্য মেলায় খাবার খেতে ভয় পাচ্ছে মেলায় আসা দর্শণার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ভুতুরে বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। এবারের মেলায় ছয় প্লেট বিরানির দাম চার হাজারের বেশি রাখার অভিযোগও এসেছে। আবার অনেকের অভিযোগ খাবারের মূল্যতালিকা চেয়েও পান না তারা ।
শুক্রবার পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছে এনামুল কবির। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এতবড় মেলার যায়গা ঘুরে ঘুরে দেখতেও অনেক সময় লাগে তখন খিদে লেগে যায়। আর মেলায় এসে কিছু না খেলে কেমন লাগে? কিন্তু খাবারের দোকানে ঢুকতে তো ভয় লাগে । দেখা যায় খাওয়ার পর আবার ভুতুরে বিল ধরিয়ে দেয় কি না।’
মেলায় খাবারের দোকানের জন্য নির্ধারিত মূল্য তালিকা বেঁধে দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। নির্ধারিত দামের বাইরে অতিরিক্ত টাকা কেউ রাখলে সে ক্ষেত্রে জরিমানার কথাও বলছে সংস্থাটি। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, যতাযথ তদারকির অভাবে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি টাকা রাখা হচ্ছে।
মেলাঙ্গনে সে স্টল আছে মেলা কর্তৃপক্ষ খাবারের একটি মূল্যতালিকা টানিয়েছে। তাতে দেখা যায় হাফ চিকেন বিরিয়ানি ১৫০ টাকা ও ফুল ২৯০ টাকা, বিফ তেহারি হাফ ৯০ টাকা ও ফুল ১৪০ টাকা, বিফ কাচ্চি হাফ ১৪০ টাকা ও ফুল ২৭০ টাকা, চিকেন ফ্রাইড রাইস হাফ ১৫০ টাকা ও ফুল ২০০ টাকা, গ্রিন সালাদ হাফ ৫০ টাকা ও ফুল ৮০ টাকা, শাহী চটপটি ১০০ টাকা ও শাহী ফুচকা ১০০ টাকা, স্পেশাল দই ফুচকা ১২০ টাকা, বিফ শিক কাবাব ১৩০ টাকা, চিকেন টিক্কা ৩০০ টাকা, পরোটা স্পেশাল ৩০ টাকা, পরোটা সাধারণ ১৫ টাকা, হালিম ১১০ টাকা এবং কফি ৪০ টাকা।
তবে দোকানগুলোতে দাম এর চেয়ে বেশি। বেশ কয়েকজনকে দেখা গেলো খাবারের দোকানে ঢুকেও বেরিয়ে যাচ্ছেন । তারা বলছেন, সব খাবারের দাম দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি।
রেহমান ছাবিদ মেলায় এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মেলায় এসে খাবার খাওয়ার কোন মানেই হয় না। যে টাকা দিয়ে এখানে খাবো তার অর্ধেক টাকা দিয়ে মেলার বাইরে গিয়ে ভালো খাবার পাওয়া যাবে।’
তবে তাই বলে থেমে নেই খাবারের দোকানের বেচা কেনা, সেখানে ভিড় লেগেই রয়েছে। শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার মেলায় ক্রেতা দর্শণার্থীদের ভিড় থাকায় খাবারের দোকানেও ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংবক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রজবি নাহার রোজিনা ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘মেলায় খাবার খেয়ে কোন রকম প্রতারিত হলে আহবা বেশি দাম রাখলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। এমনকি খাবারের দাম বেশি রেখেছে এটা প্রমাণিত হলে সে প্রতিষ্ঠানকে আমরা জরিমানা করবো। জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ দেব অভিযোগকারীকে।’
মঙ্গলবার মেলায় হাজীর বিরিয়ানিতে অভিযানে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার অভিযোগ পান ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘মেলায় আমরা প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। কোথাও খাবারে দাম বেশি রাখা হলে অথবা খাবারের টেবিলে মূল্যতালিকা না থাকলে আমরা জরিমানা করি। এছাড়া আমরা খাবারের মান ঠিক আছে কি না সেটাও দেখি। অমরা এরই মধ্যে খাবারের দাম বেশি রাখা ও মূল্যতালিকা না রাখার কারণে জরিমানা করেছি।’
ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/ডব্লিউবি