শপথের দিনেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ চরমে
বিতর্ক আর পিছু ছাড়ে না। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি হবার পরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিস্তার নেই। নানামুখী বিক্ষোভের তোপের মুখে সরগরম ওয়াশিংটনসহ আরো অনেক অঙ্গরাজ্যই। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আগমুহূর্তে ওয়াশিংটনে রিফিউজফ্যাসিজম ডট ওআরজি নামে অভিবাসীদের একটি সংগঠন ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওয়াশিইংটনের রাস্তায়l ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ট্রাম্প সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশ জুড়ে।
যদিও পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজ শুক্রবার ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই আয়োজন আড়ম্বরপূর্ণ করতে নেওয়া হচ্ছে নানা আয়োজন। উদ্যাপন করতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হচ্ছেন ট্রাম্পের সমর্থকেরা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে মাঠে থাকছেন ট্রাম্পবিরোধীরাও।
ওয়াশিংটন পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, ট্রাম্পের অভিষেকে আট থেকে নয় লাখ লোক অংশ নিতে পারেন। এই সংখ্যা বারাক ওবামার প্রথমবারের অভিষেকে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেক। এই নয় লাখের মধ্যে আবার সবাই ট্রাম্প-সমর্থক নন। প্রায় তিন লাখ বিক্ষোভকারী জড়ো হবেন রাজধানীতে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ওয়াশিংটনকে রীতিমতো দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। মোতায়েন থাকবে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর ২৮ হাজার সদস্য। ওয়াশিংটনের কেন্দ্রস্থলে নিরাপত্তা বেড়া ও বালুভর্তি ট্রাক রাখা হবে।
মনে করা হচ্ছে, অভিষেকের দিন ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের হিড়িক পড়ে যেতে পারে। ৩০টি সংগঠন জানিয়েছে, তারা ২ লাখ ৭০ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো করবে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের আয়োজন অবশ্য করা হয়েছে শনিবার। ওই দিন আড়াই লাখ নারী ওয়াশিংটনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অভিষেক অনুষ্ঠান বর্জনকারীদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। অভিষেক বর্জন করতে যাওয়া ডেমোক্রেটিক দলের আইনপ্রণেতার সংখ্যা ৫০ জনের বেশি। মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা জন লুইস ও অন্যদের নিয়ে ট্রাম্পের ‘আক্রমণাত্মক মন্তব্যের’ প্রতিবাদেই প্রতিনিধি পরিষদের ওই ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। থাকছেন না হলিউডের সেরা তারকারাও। তবে অনুপস্থিতির এই দীর্ঘ তালিকা নিয়ে মোটেও বিচলিত নন ট্রাম্প।
বরং অভিষেকের প্রাক্কালে ট্রাম্প আবারও ঐক্যবদ্ধ আমেরিকার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্বাচনের স্লোগানও তৈরি করেছেন। ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০২০ সালের নির্বাচনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/জেএস)
মন্তব্য করুন