হাইব্রিডের প্রভাবে কমছে দেশি বীজের প্রভাব
সবজি চাষে বিদেশি হাইব্রিড বীজের প্রভাবে কমছে দেশি বীজের ব্যবহার। কম সময় ও শ্রমে বেশি ফলনের কারণে বিদেশি বীজ ব্যবহারে আগ্রহী পাবনার চাষিরা। কৃষিবিদরা বলছেন, দেশি সবজি বীজের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা গেলে কমতে পারে বিদেশি বীজের ব্যবহার।
সবজি চাষে সাফল্যের মুখ দেখেছেন পাবনার কৃষক নয়ন হোসেন। এবার দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন হাইব্রিড জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি। আমদানি করা বীজ সরবরাহ করেছে একটি বহুজাতিক কোম্পানি। তার মতো সবজি চাষি ফুরকান আলীও এবার বিদেশি জাতের তিন বিঘা জমিতে গাজন চাষ করেছেন।
সহজলভ্য হওয়ায় বিদেশি হাইব্রিড বীজের ওপরই বেশি নির্ভর করেন পাবনার চাষিরা। ঈশ্বরদীর সফল সবজি চাষি গাজন জাহিদ বলেন, সবজি চাষে দেশি বীজের তুলনায় ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা হাইব্রিড জাতের বীজের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, পাবনার নয়টি উপজেলায় এবার সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্য তিন লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন। এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও গাজরের শতভাগই বিদেশি বীজ। আর শসা ও টমেটো বীজের প্রায় ৮০ ভাগ বিদেশি।
কয়রাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মো. জিল্লুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিদেশি হাইব্রিড বীজের চেয়ে দেশি জাতের পুষ্টিগুণ যেমন বেশি তেমনি স্বাদও অনন্য। তাই উন্নত মানের নতুন নতুন জাতের সবজি বীজ উদ্ভাবনে আরও নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
পাবনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার ঢাকাটাইমসকে বলছেন, দেশি সবজির বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে চলছে গবেষণা।
বর্তমানে বিদেশি জাতের সবজি বীজ আমদানি ও উৎপাদন করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তবে উন্নতমানের দেশি বীজ পাওয়া গেলে এসবের ব্যবহার কমে আসবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)