এবার ১১ খাল উদ্ধারে অভিযানে নামছেন মেয়র খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১১ | প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:০৯

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকা ১১ টি খাল দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নন্দীপাড়া ত্রিমোহনী খাল মুক্ত করার মধ্য দিয়ে এই অভিযান শুরু হবে।

রবিবার নগর ভবনে এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মেয়র খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রেফাত জামিল ও ঢাকা জেল প্রশাসক সালাউদ্দিন।

রাজধানীতে প্রতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতার জন্য যে সব কারণকে দায়ী করা হয় তার একটি হলো খাল দখল। রাজধানীর বেশিরভাগ খালই অবৈধ দখল আর আবর্জনার কারণে ভরাট হয়ে গেছে অনেকাংশেই। এই খালগুলা পানি ধারণ করতে পারে না। নানা সময় অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হলেও পরে আবার বেদখল হচ্ছে এসব খাল।

তবে মেয়র খোকন বলছেন, এবার দখলমুক্ত করা হলে সেটি যেন স্থায়ী হয় সেই ব্যবস্থাও তারা নেবেন। তিনি বলেন, ‘নন্দীপাড়া খাল দিয়েই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করতে পারি। সিটি করেপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নন্দী পাড়া ত্রিমোহনী খাল মুক্ত করা হবে। একদিকে অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে, অন্যদিকে পরিষ্কারের কাজ চলবে।’

অভিযানে ঢাকা মেট্রোপলিটনের পুলিশ সহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এছাড়াও অন্যান্য বাহিনীর প্রয়োজন হলে তাও নেয়া হবে। দখলদার যেই হোক, যে দলের জনপ্রতিনিধি হোক, কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য হবে না।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকা শহরে খাল, বক্সকালভার্ট ও রস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে যতগুলো খাল ও বক্সকালবার্ট রয়েছে সেইগুলোকে আগের রুপে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।’

অনেকগুলো খাল ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘যেসব খাল ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয়েছে সেগুলোকে প্রয়োজনে সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে জনগণের জন্য খালের প্রবাহ অবমুক্ত করা হবে।’

এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও ডিএমপি একযোগে কাজ করে যাবে বলেও জানান মেয়র।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘খালের মধ্যে বিল্ডিং থাকলে তাও থাকতে দেয়া হবে না। ভেঙে খালের প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।’

রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল থেকে হকার উচ্ছেদের কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জনগণের রাস্তা আর ফুটপাত জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো সুবিধাভোগী ষড়যন্ত্র করলে মেনে নেয়া হবে না। আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি ঢাকা শহরকে বাস যোগ্য করবই।’

মেয়র বলেন, ‘এই অবস্থা স্থায়ী করতে কর্ম পরিকল্পনা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে, তাদের সচেতন হতে হবে। আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে সকল জনগণকে।’

অবৈধভাবে গড়ে তোলা রাজনৈতিক কার্যালয় উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কে কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত সেটা বিবেচ্য নয়। কাউকেই কোনো ধরনের স্থাপনা করতে দেয়া হবে না। দখলকারীরা যেকোনো দল বা যে কোনো পর্যায়ের নেতা হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের সম্পত্তি জনগণকে ফিরিয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাব। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না’

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/জিএম/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :