মেয়র পদ ফিরে পেলেন গউছ

মেয়র পদ ফিরে পেয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা তৃতীয়বারের নির্বাচিত মেয়র জি কে গউছ। সোমবার জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও খান মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এই স্থগিতের আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার মেয়র জি কে গউছ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সোমবার এই রিটের শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। শুনানিতে গউছের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন স ম রেজাউল করিম।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র জি কে গউছকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গউছ। আদালত মেয়র জি কে গউছের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র জি কে গউছকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাগার থেকেই হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জি কে গউছ। এই নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মেয়র হিসেবে শপথ নেন জি কে গউছ। তবে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার আগেই ২০ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ৭৩৯ দিন কারাভোগের পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মেয়র জি কে গউছ।

এদিকে মেয়র জি কে গউছ মেয়র পদ ফিরে পাওয়ায় আনন্দ উল্লাস করছে পৌরবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)