জাতীয় কমিটির রামপালবিরোধী হরতালে টিআইবির সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:৫৮

বাগেরহাটে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বৃহস্পতিবারের হরতালে সমর্থন দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখা-টিআইবি।

সোমবার রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সংস্থাটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান বন্ধের দাবিতে হরতালে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

যারা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন, তাদের একজন সুলতানা কামাল। এই কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে অভিযোগ তুলে পরিবেশবাদীদের দাবিকে সমর্থন করেন তিনিও।

বামপন্থি ও পরিবেশবাদীদের সমালোচনা ও অভিযোগের পরও সরকার এই কেন্দ্রটি এগিয়ে নিচ্ছে। এরই মধ্যে ভূমি উন্নয়নসহ নানা স্থাপনা তৈরি হয়ে গেছে। এর প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে জাতীয় কমিটি। হরতালে সব দল ও শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছে তারা। এরই মধ্যে বিএনপি এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে। এবার সমর্থন দিলেন টিআইবি প্রধান।

এই প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আছে কি না-এ বিষয়েও সুলতানা কামালের কাছে প্রশ্ন রাখেন গণমাধ্যমকর্মীরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এখনো কোনো গবেষণা আমরা করিনি।’

জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দে অস্বচ্ছতা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। একটি গবেষণার আলোকে তারা জানায়, গবেষণায় মানদ- চার এর মধ্যে স্বচ্ছতার হার পাওয়া গেছে ১.৮৮ শতাংশ।

‘জলবায়ু অর্থায়ন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান: প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন’ শীর্ষক এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে জলবায়ু তহবিলে মোট ১০৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ৮২ শতাংশ শহরকেন্দ্রীক। বাকিটা গ্রাম এলাকায়। এসব প্রকল্পের মধ্যে ছয়টির ওপর গবেষণা করে টিআইবি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দ কম বেশি হয়ে থাকে। এর ফলে সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকারি তহবিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও বেশি স্বচ্ছতা হতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

টিআবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল জানান, সুশাসনের ঘাটতির ফলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদারকি না থাকায় জনবল পাওয়া যায় না। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল নিয়োগ করা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সাধারণ মানুষ যেন দুর্ভোগে না পরে সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবি রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ শারমীন এবং সিনিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া।

(ঢাকাআইমস/২৩জানুয়ারি/এসও/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :