খোঁড়াখুঁড়ি: মগবাজার-মৌচাক সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:০১ | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:২৮

রাজধানীর মগবাজার থেকে মৌচাক সড়কে চলছে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। মাটির নিচ দিয়ে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার নেয়া হচ্ছে। আর এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। কবে নাগাদ এই কাজ শেষ হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ।

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে মগবাজার থেকে মৌচাক সড়কে। আর এর ফলে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়িগুলো চলাচল করছে। তাছাড়া যানজট তো লেগে আছেই।

এমনিতেই এ এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। তার ওপর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে দুর্ভোগের কোনো অন্ত নেই এই পথের যাত্রীদের।সোমবার দুপুর দেখা গেল অনেকে রিকশা থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছেন।

রেজওয়ান আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মগবাজার থেকে মৌচাকে যেখানে হেঁটে যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট। সেখানে গাড়িতে লাগলো ৩০ মিনিটের বেশি। বোঝা ছিল তাই হেঁটে যেতে পারিনি।’

চাংপাই টাইনিজ রেস্টুরেন্টের অপর পাশে দেখা গেল ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি যাচ্ছে। এমনিতেই রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। তার উপর ওয়াসার পানির লাইন ফুটো হয়ে পানি জমে গেছে রাস্তায়। এতে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা একজন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শেষ করতে। মাটির নিচ দিয়ে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার নেয়া হচ্ছে। কবে কাজ শেষ হবে তা বলতে পারছি না।’ গর্তের কথা বললে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এখনই আমরা বালুর বস্তা ফেলে গর্ত ঠিক করে দেব।’

পাশে থাকা ওয়াসার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রাস্তা খোঁড়ার ফলে অনেকে অভিযোগ করেছে তাদের পানির লাইনে ময়লা পানি আসছে। তাই আমরা লাইন চেক করতে এসেছি। কিছু কিছু লাইনে ছিদ্র পেয়েছি।’

মগবাজারের কাছে দোকানদান হাবিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জানি না আমাদের দুর্ভোগ কবে শেষ হবে। এতদিন ছিল ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য দুর্ভোগ। আর এখন শুরু হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি। কবে যে শেষ হবে। ধুলোয় থাকাটা দায়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রায় প্রায় ২০ দিন হলো মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হতে কতদিন লাগতে পারে সে ব্যাপারে জানা যায়নি সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কথা বলেই।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :