ঘরোয়াভাবে জন্মদিন পালন করলেন রাজ্জাক

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:০৩

রাজ্জাক। বালাদেশের একজন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ২৩ জানুয়ারি তার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হলো।বরাবরের মতো এবারের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত এই অভিনেতা। এদিন তেমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকলেও চ্যানেল আইতে ছিল তার লাইভ কেক কাটার আয়োজন। এছাড়া দেশের বেসরকারি এই টিভি চ্যানেলটি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্রচারেরও আয়োজন করেছিলো। সেদিন তাকে ঘিরে এফডিসিরও ছিল না কোন আয়োজন। তাই অনেকটা ঘরোয়াভাবেই জন্মদিনটি পার করলেন নায়ক রাজ।

জন্মদিন উপলক্ষে এক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‘রাতে কেক কেটে বাসায় বাবার জন্মদিন পালন করা হয়েছে। রোববার থেকেই অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি শুধু সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

নায়করাজ রাজ্জাক একাধারে একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা পালন করছেন। কিশোর বয়সে কলকাতায় মঞ্চ নাটকে জড়িয়ে পড়েন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ১৯৬৪ আলে দাঙ্গার সময় ঢাকা চলে আসেন পরিবারের সাথে।

প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সহযোগিতায় ইকবাল ফিল্মসে কাজ করার সুযোগ পান। পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে ‘উজালা’ ছবিতে কাজ শুরু করেন। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নম্বর ফেকু অস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ‌’কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে তিনি।

পরে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন এবং সবার মন জয় করে নেন। দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি নায়করাজ হিসেবে পরিচিতি পান।

নায়করাজ প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। মোট চারবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।

রাজ্জাক প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়করাজ শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও সফল। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তিনি ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাইরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন রাজ্জাক। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম রাজলক্ষী প্রোডাকশন। রাজ্জাক বাবা আকবর হোসেন ও মা মিরারুন্নেসার কনিষ্ঠ সন্তান। রাজ্জাকের দুই পুত্র বাপ্পারাজ এবং সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনেতা।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এমইউ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :