স্ত্রী হত্যায় স্বামীসহ চারজনের ফাঁসি বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৯

রাজধানীর পূর্ব গোড়ানে স্ত্রী তাহমিনা শারমিন তানিয়া হত্যা মামলায় স্বামী জাহিদ হোসেন জুয়েলসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা অন্য দুই আসামি হলেন- জাহিদের গাড়ী চালক শাহীন আলম ও ভাড়াটে খুনি মিজানুর রহমান। তিন আসামিই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে নওগাঁয় ১৯৯৭ সালে স্ত্রী সাদেকা বানুকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মাহবুবুল আলমেরও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আসামিদের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

তাহমিনা শারমিন তানিয়া হত্যা মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর পূর্ব গোড়ানের বাসা থেকে স্বামী জাহিদ তার স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা কুয়াকাটার একটি হোটেলে ওঠেন। ৩০ জানুয়ারি কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ভাড়াটে খুনি মিজান ও গাড়ির চালক শাহিন গাড়ির ভেতরে তানিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যা সময় এই দম্পত্তির ১০ মাসের শিশু সন্তান জায়মান সঙ্গে ছিল। এই ঘটনায় পরের দিনই ৩১ জানুয়ারি তানিয়ার ভাই রায়হান গফুর বাদি হয়ে জাহিদ ও কাশেমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ এপ্রিল পুলিশ জাহিদ, শাহিন ও মিজানের নামে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্ত্রী তানিয়াকে হত্যা করতে ভাড়াটে খুনি মিজান ও গাড়ির চালক শাহিনের এক লাখ টাকা দেয়ার চুক্তি করা হয় বলে তারা স্বীকার করেন। পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ৮ জুলাই তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশই বহাল রাখেন। পরে আসামিরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান। শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ তাদের আপিল খারিজ করে তিনজনের ফাঁসি বহাল রাখেন।

এদিকে ১৯৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল দাম্পত্য কলহের জেরে সাদেকা বানুর নিজ বাড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় স্বামী মাহবুব। এসময় সাদেকার ছোটো বোন চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে মাহবুবকে ধরে ফেলে এবং সাদেকাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেকার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাদেকার বাবা অছিম উদ্দিন বাদী হয়ে মান্দা থানায় মাহবুবকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার বিচার শেষে ২০০৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাহবুবকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নওগাঁর নারী ও শিশু আদালত-৩। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামির আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ২০ মে মাহবুবেব মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আপিল করেন। আপিল বিভাগ মাহবুবের আপিল খারিজ করে আজ মাহবুবের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :