বিশেষ বিসিএস ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধা বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে রুল
১৯৭৩ এর বিশেষ বিসিএস ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের সনদ কেন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার আওতার বাইরে রাখা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধা অফিসার্স সমিতির পক্ষে কাজী বজলুর রহমানসহ ১৭ জনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
সারাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই চলছে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১২ জানুয়ারি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সব জেলা ও মহানগের কমিটি করে। এর আগে গত বছর ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পরে গত ৫ জানুয়ারি আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এ অবস্থায় ১৯৭৩ সালের বিশেষ বিসিএস ব্যাচের মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে রিট আবেদন করা হয়। এ ব্যাচে ১৩১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ৭৩ এর বিশেষ বিসিএস ব্যাচে উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তারা সবাই অবসরে গেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এমএবি/জেবি)