গর্ভপাতবিরোধী নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর ট্রাম্পের
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড গর্ভপাতবিরোধী একটি নির্বাহী আদেশে গতকাল সোমবার স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। এ সময় হোয়াইট হাউসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মার্কিন গণমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মেক্সিকো সিটি পলিসি বা ‘গ্লোবাল গ্যাগ রুল’ নামে পরিচিত এই নীতি পুনর্বহাল রেখেছেন। মার্কিন এই নীতিতে বলা আছে, গর্ভপাত নিয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব এনজিও কাজ করে তাদেরকে মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর পুরো বিশ্বে পরিবার পরিকল্পনা খাতে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ২৭ মিলিয়ন নারী এবং দম্পতি প্রতিবছর এখান থেকে গর্ভনিরোধক সেবা ও পরামর্শ নিয়ে থাকে। এই অর্থের কোনো অংশই গর্ভপাতের জন্য খরচ করা হয় না।
১৯৭৩ সালে মার্কিন কংগ্রেস হেমস অ্যামেন্ডমেন্ট বা ফরেন অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট পাস করে। এতে বলা আছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গর্ভপাতের সঙ্গে জড়িত এমন কোনো সংস্থাকে আর্থিক অনুদান দেবে না।
গ্লোবাল গ্যাগ রুলের প্রবক্তরা মনে করেন, এই নীতির এখনো প্রয়োজন আছে। তাছাড়া হেমস নীতি যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ উন্নয়নশীল এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর নারী ও কিশোরীদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। নিরাপদ গর্ভপাত পদ্ধতির অভাবে তারা প্রায়ই বিপজ্জনক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২১ মিলিয়নের বেশি নারী অনিরাপদ গর্ভপাত পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। যার ফলে প্রায় ১৩ শতাংশ মাতৃত্বকালীন মৃত্যু ঘটে থাকে।
১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এই নীতির অনুমোদন দেয়। ১৯৯৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিল ক্লিনটন তা স্থগিত করে দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে জর্জ ডব্লিউ বুশ আবার এটি পুনর্বহাল করেন। তবে বারাক ওবামার সময়ে তিন বছর বন্ধ থাকলেও পরে আবার তহবিলটি চালু করেছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এসআই)