সরকারের বিরুদ্ধে যুব আন্দোলন গড়ে তুলব

বোরহান উদ্দীন
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:২২ | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:১০

সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি ঘোষিত যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। ১৯৮২ সালে তেজগাঁও পলিটেকনিকে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে অভিষিক্ত নীরব ১৯৮৩ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, পরে সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯০ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে পরে যুবদলে এসে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন। সবশেষ ঘোষিত যুবদলের নতুন কমিটিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি করা হয় নীরবকে।

এখন নতুন সভাপতির নেতৃত্বে গঠিত হবে যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কবে এই কমিটি হবে, কারা নেতৃত্বে আসবেন, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ঢাকাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন সাইফুল আলম নীরব। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন।

ঢাকাটাইমস: নতুন আংশিক কমিটি কেমন হলো?

সাইফুল আলম নীরব: সারা দেশে যুবদলের নেতাকর্মীদের মতো আমিও মনে করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি যুগোপযোগী ও সুন্দর কমিটি উপহার দিয়েছেন। এটি একটি সাংগঠনিক কমিটি হয়েছে। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে এই কমিটি প্রত্যাশা অনুযায়ী ভূমিকা রাখবে ইনশাহ আল্লাহ।

ঢাকাটাইমস: নতুন কমিটির সামনে মূল চ্যালেঞ্জ কী?

সাইফুল আলম নীরব: বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যুবদলের সোনালি ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনে দেশের যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করব- এটাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমার ওপর আস্থা রেখে যুবদলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে যা করা দরকার তা-ই করব।

ঢাকাটাইমস: পূর্ণাঙ্গ কমিটি কত দিনের মধ্যে হবে?

সাইফুল আলম নীরব: এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে আমাদের। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সুন্দর কমিটি করতে পারব। সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে আমরা শিগগিরই সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে সারা দেশে সফর করব। সরকারের পতন ঘটাতে একটি যুব আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে-এটাই যুবদলের প্রতিজ্ঞা।

ঢাকাটাইমস: কাদের জায়গা হবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে?

সাইফুল আলম নীরব: আমি আগেই বলেছি, এটি একটি সাংগঠনিক কমিটি হয়েছে। তাই আমরা যুবদলকে কীভাবে সুসংগঠিত করা যায়, সেটা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেব। এ জন্য শিগগিরই বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। ত্যাগী, দক্ষ, যোগ্যদের দিয়ে কমিটি করা হবে। যারা অনেক কষ্ট আর জেল-জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলনে ছিলেন, ছাত্ররাজনীতিতে যারা যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন, এখন যুবদলের রাজনীতিতে আসতে চান- তাদেরও রাখা হবে। সাবেক কমিটির সক্রিয় কোনো নেতা বাদ যাবেন না।

ঢাকাটাইমস: কমিটি কত সদস্যের হবে?

সাইফুল আলম নীরব: যুবদলের সবশেষ কমিটি ২৭১ সদস্যের। আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এই সংখ্যার মধ্যেই থাকবে আশা করি।

ঢাকাটাইমস: কমিটিতে অনেক সময় কাছের মানুষকে পদ দেয়া, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ থাকে। যুবদলকেও কি সেই অভিযোগের ভাগিদার হতে হবে?

সাইফুল আলম নীরব: যুবদলে স্বজনপ্রীতির জায়গা হবে না, হতেও দেয়া হবে না। পদ-পদবি পাওয়ার মাপকাঠি হবে যোগ্যতা। অবশ্যই পদ দেয়ার আগে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল, তাদের ব্যাপারে বিশেষ নজর থাকবে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই শক্তিশালী কমিটি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।

ঢাকাটাইমস: সারা দেশের যুবদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির কী হবে?

সাইফুল আলম নীরব: তিন বছর পর পর যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি হওয়ার নিয়ম। আমাদের কমিটি হলো সাত বছর পর। এর অন্যতম কারণ হলো- ২০১৩ সালের পর কর্মী সম্মেলন করাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ ছিল না। তৃণমূলের চিত্র ছিল আরো ভয়ংকর। সে কারণে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি করা যায়নি। তবে এবার সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি করে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা হবে।

ঢাকাটাইমস: বিগত আন্দোলনে যুবদলের ভূমিকা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। আপনি কী বলবেন?

সাইফুল আলম নীরব: আপনারা জেনে থাকবেন, বিগত দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। আমাদের ৩৭ জন সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০ জনের বেশি গুমের শিকার হয়েছেন। এই মুহূর্তে সারা দেশে যুবদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। থানা-জেলাসহ সব কমিটির প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকার। আমার নিজের বিরুদ্ধেও ২১৭টি মামলা রয়েছে। এমন অবস্থার মধ্য দিয়েই আন্দোলন করতে হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো।

ঢাকাটাইমস: বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে নানা সময় সমালোচনা হয়েছে। যুবদল কোন ধরনের কর্মসূচি চায়?

সাইফুল আলম নীরব: সরকারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ করা হলেও আমরা জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আমাদের কর্মসূচিও গণতান্ত্রিক। আগামী দিনে আমরা আরো বেশি জনবান্ধব কর্মসূচি আশা করি এবং তা নিয়ে এগিয়ে যাব। একটি কঠিন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

ঢাকাটাইমস: আপনাকে ধন্যবাদ।

সাইফুল আলম নীরব: আপনাকে ও ঢাকাটাইসকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের যে কারো সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছি: অলি

সৌদি আরব-আমেরিকায় বাংলাদেশের চেয়েও বড় দুর্ঘটনা ঘটে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

সরকার চোরাবালির ওপর, পতন অনিবার্য: রিজভী

আ.লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক ৩০ এপ্রিল, গুরুত্ব পাবে উপজেলা নির্বাচন

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আব্দুল আউয়াল মিন্টু

বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণের মরদেহের প্রতি আ.লীগের শ্রদ্ধা

এখনো নির্বাচনি মাঠে আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর স্বজন

নৈরাজ্য চলতে থাকলে দেশে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য: নুর

দেশের অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :