বরিশালে স্কুলছাত্র হত্যা: আটক দুই
বরিশালে স্কুল ছাত্র ছাত্র সাইদুর রহমান হৃদয় গাজীকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো সাইদ ও শাহীন। এরা বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র এবং নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক আবু তাহের। তিনি জানান, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
শনিবার বেলা সারে ১০টার দিকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হৃদয়কে স্কুলের পাশে পরেশ সাগরের মাঠে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তার সহপাঠী সাজিদ রাফীও।
আহত রাফীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার খালেদুর রহমান জানান, পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে হৃদয় গাজীর মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য রাফী বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে দায়ী করেছিল। রাফী জানায়, তাদের স্কুলের মেয়েদেরকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেরা প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া জেসমিনও ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার কাছে মেয়েরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছিল। পরে আমি কোতয়ালী পুলিশকে তা জানাই। তারা প্রায়ই এখানে টহল দিতো। কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে সেটা ভাবতে পারিনি।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় বিষয়টিতে মেয়ে বা প্রেমঘটিত বিষয় জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও তদন্ত করে মূল বিষয়টি জানানো যাবে।’
নিহত কিশোরের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম শাহীন গাজী। হৃদয় এই স্কুলে পড়ার পাশাপাশি বরিশাল নগরীর মা মনি ক্যাডেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল। সেখানে আবাসন সুবিধা আছে। সেখানেই থাকতো সে।
ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/ডব্লিউবি