সোমবার থেকে শুরু জমাদিউল আউয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১৯

আগামী সোমবার থেকে ১৪৩৮ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাস শুরু হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার রাতে ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৩৮ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রি. পবিত্র রবিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রি. সোমবার থেকে পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। ’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (প্রেস) মো. মিজান-উল-আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইদুর রহমান, ওয়াকফ প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাখাওয়াত হোসেন, ধর্ম-সচিবের একান্ত সচিব মো. গোলাম মওলা, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবদুর রহমান,স্পারসোর সিএসও মো. শাহ আলম, ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জমাদিউল আউয়ালের তাৎপর্য

আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস ‘জমাদিউল আউয়াল’। আরবি অন্যান্য মাসের মতো এই মাসেরও রয়েছে কিছু তাৎপর্য। এই মাসের আমল হলো নফল নামাজ, নফল রোজা, দান-খয়রাত ইত্যাদি। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ, তথা তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, জাওয়াল ও আউয়াবিন নামাজ আদায় করা। কাজা রোজা থাকলে পুরা করা; মান্নত রোজা থাকলে তা আদায় করা। মাসের ১ তারিখ, ১০ তারিখ, ২৯ ও ৩০ তারিখে রোজা রাখা এবং চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ‘আইয়ামে বিজ’ বা শুভ্র সময়ের বাবা হজরত আদম (আ.)-এর সুন্নত রোজা করা। সপ্তাহে প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নফল রোজা রাখা। বিশেষত ‘জমাদিউস সানি’ মাসে ‘রজব’ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আরও বেশি নেক আমল এবং অধিক পরিমাণে নফল নামাজ ও নফল রোজা করার কথা রয়েছে।

জিকির-আজকার, দোয়া-কালাম, দরুদ ও সালাম, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার, খতম তিলাওয়াত, সদকা-খয়রাত ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে মাস অতিবাহিত করলে নিশ্চিত এর বরকত, ফজিলত ও কল্যাণ লাভ হবে। অন্যথায় সময়ের অপচয়ের জন্য অনুতাপ ও অনুশোচনা করতে

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :