নড়াইলে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী পিঠামেলা
শেষ হলো পিঠামেলা, ভাঙল গণ-মানুষের মিলনমেলা। রবিবার রাত ১১টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নড়াইলের আমাদা আদর্শ কলেজ চত্বরে দুই দিনব্যাপী পিঠামেলা শেষ হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস।
কলেজ অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্দিকুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য জেসমিন খানম, সুলতান মাহমুদ বিপ্লব, এবিএনকে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক রায় প্রমুখ। পরে অতিথিরা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
এদিকে, রাত অবধি পিঠা বেচাকেনা জমে উঠে। রসালো পিঠাস্টলের বিক্রেতা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী, লিজা, তন্নি, মাসুম, আজমিন, সাগরিকা, সোনিয়া জানান, দু’দিনে বেচাকেনা বেশ ভালো হয়েছে। রাত জেগে পিঠা তৈরির কষ্ট সার্থক হয়েছে তাদের।
রূপসী পিঠাঘরের বিক্রেতা সালাউদ্দীন, পল্লব ও রিয়াজুল বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পিঠা বিক্রি করেছি। বিশেষ করে সমাপনী দিনে বেশি বিক্রি হয়েছে।
মনিকা পিঠাঘরের শ্রাবণী, জাহিমা, রাবেয়া, ইরানি, রোকেয়া ও রাশেদ বলেন, আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করেছি। দু’দিনের পিঠামেলা গণমানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী মারুফ, আশিক ও শাহনাজ বলেন, পিঠামেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য, সঙ্গীত, কৌতুকসহ বিভিন্ন পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান বলেন, এবারের পিঠামেলায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা ১১টি স্টলে ৭০ প্রকার পিঠার আয়োজন করে। আবহমান বাংলার ঐহিত্য ও সংস্কৃতি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে ফিতা কেটে পিঠামেলার উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)