চিকিৎসা নিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার কলেজছাত্রী

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৭
প্রতীকী ছবি

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিংড়া গোল ই আফরোজ সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালে তাজপুর ইউনিয়নের তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় ওই কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহাবুর রহমানের সহযোগিতায় তিনভিটা গ্রামের সিদ্দিক প্রামাণিকের ছেলে মো.সেলিম ও নজু ফকিরের ছেলে শামীম ফকির ওই ছাত্রীর মাকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। পরে মো. সেলিম মেয়েটির ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মুখ বেঁধে শ্লীলতাহানি করতে শুরু করে। এ সময় মেয়েটির মা বাইরে থেকে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে ওই বখাটেরা দরজা খুলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর পরই গ্রামের প্রধান রহিদুল প্রামাণিক সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে ও তার মাকে এ ব্যাপারে থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার জন্য চাপ দেন।

মেয়েটি বাড়ি আসার পর তার ভাই মুনছুর আলী ঘটনাটি সিংড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। তিনি এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে সিংড়া থানায় এজাহার দাখিল করেন।

মুনছুর আলী ফকির বলেন, ‘আমি আমার বোনের কাছে ও মায়ের কাছে ঘটনা শুনে থানায় অভিযোগ করেছি। সেলিম নামের ওই ছেলেটি অনেক আগে থেকেই আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করতো। আমরা এর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্য সহকারি কাউছার আলী দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মুঠোফোন নম্বর এ মুহূর্তে কাছে না থাকায় তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সহকারি কাউছার আলী বলেন, ‘আমি সকালে কেন্দ্রের বারান্দায় বসে কাজ করছিলাম। ওই সময় আমি অভিযোগকারী ছাত্রীকে দেখেছিলাম। তিনি কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন। তখন মাহাবুরসহ কয়েকজন ছেলে ছিল। তবে কোনো ঘটনা আমি দেখিনি, শুধু শুনেছি।’

অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ক্লিনিকের বারান্দায় সেলিম এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমি নির্দোষ।’

সিংড়া থানার দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপ পরিদর্শক খাইরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, তিনি মেয়েটির মুখে ঘটনা শুনে তাঁকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে বলেছি।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :