ইসিতে কিবা আসে যায়

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
| আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:২৪ | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:৩৬

শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এখন সব দলের সাধারণ দাবি। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে এমন কমিশনের অপেক্ষায় তারা। বাংলাদেশে ইসি আসলে কতটা ক্ষমতাবান? সুষ্ঠু নির্বাচনের চাবি কি তাদের হাতে?

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কদিন আগের ঘটনা। কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। প্রসঙ্গ, প্রার্থীদের দেওয়া অভিযোগ নিয়ে। কমিশন আসলে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এসব অভিযোগ। ওই কর্মকর্তা মৃদু হেসে বলেন, ‘এতদিন যাই হোক, এখন ব্যবস্থা হবে। স্যারদের যাওয়ার সময় হয়েছে তো।’ তার জবাবটি স্পষ্ট হয়নি। জানতে চাইলে দ্বিতীয়বার বলেন, ‘এখন কে খুশি হলো আর কে ক্ষুব্ধ হলো এসব দেখার সময় নেই। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষের পথে। যাওয়ার আগে বলার মতো কিছু কাজ তো করে যাবেন।’

কেমন হতে যাচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন? সব দলের আস্থা থাকবে তো নতুন কমিশনে? সার্চ কমিটি সবদলের গ্রহণযোগ্য একটি কমিশন উপহার দিতে পারবেন তো? আলোচনা এখন এসব নিয়ে। যদিও বিএনপি এর মধ্যে বলে দিয়েছে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে তা ‘সরকারের পছন্দের’। তারা যেমনটি চেয়েছিল সে অনুযায়ী হয়নি সার্চ কমিটি। বোঝাই যাচ্ছে, নতুন কমিশনে যে বা যারাই থাকুন না কেন, বিএনপির আপত্তি থাকবে বরাবর।

‘শক্তিশালী’ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের দাবি সব দলেরই। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী ইসি তারা চান। আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কতটুকু ক্ষমতাবান নির্বাচন কমিশন? তারা চাইলেই কি নিজেদের সিদ্ধান্তে সব করতে পারেন? বিগত সময়ে ছোট কোনো বিতর্কে জড়ায়নি এমন কোনো কমিশনের নজির কি আছে? ১৯৯০, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ২০০০ ও ২০০৫ সালে গঠিত নির্বাচন কমিশনের তুলনায় শামসুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দিনের কমিশনকে অনেক বেশি স্বাধীন ও শক্তিশালী বলা হয়েছিল।

কিন্তু হুদা কমিশন কি বিতর্ক এড়িয়ে বিদায় নিতে পেরেছিল? নাকি বিদায়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে কাজী রকিবউদ্দিন কমিশন বলতে পেরেছে তারা সুনাম নিয়ে ফিরে যাচ্ছে? বরং শুরু থেকেই রকিবউদ্দিন কমিশনকে কম বেশি বিতর্কের মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে। সবশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবশ্য তারা ভালোভাবেই উতরে গেছে। তবুও শেষ ভালো যার সব ভালো তার’ এই যুক্তিতেও তাদের এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক একাধিক কমিশনারের সঙ্গে কথা হলো বিষয়টি নিয়ে। সবার কাছেই কম বেশি প্রশ্ন ছিল, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি আসলে কতটা ক্ষমতা রাখে? এ প্রসঙ্গে নাম গোপন রেখেই জবাব দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন সাবেক কমিশনাররা। তারা বলেছেন, এক কথায় কোনো কমিশনই বলতে পারবে না তারা ক্ষমতাসীন দলের ন্যূনতম হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনো কাজ করতে পেরেছে। চাইলেও তা সম্ভব নয়। কারণ, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী বিভাগের অধীনে। তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ইসির ইচ্ছা-অনিচ্ছার চেয়ে সরকার কী চাইছে তার প্রতিফলন বেশি থাকে। তাই ইসি যাদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে তারা কতটা দল-মতের ঊর্ধ্বে তা দেখার বিষয়।

কাজী রকিবউদ্দিন কমিশনের অধীনেই সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়নি। বরং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে বলে মত দিয়েছে বিএনপিও। কিন্তু ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির ভূমিকা নিয়ে ছিল বড়সড় প্রশ্ন। আবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রকিবউদ্দিন কমিশন বিতর্ক এড়াতে পারলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা পুরোপুরি প্রশ্নমুক্ত ছিল না।

সবমিলে এ যাবৎ যতগুলো নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে বলা হচ্ছে তার সবকটির পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা বেশি কাজ করেছে। বিশেষ করে সরকারি দলের সদিচ্ছা এখানে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সরকারপ্রধানের কঠোর নির্দেশনা ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ব্যাপারে। তিনি বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। তাই হয়েছে।

রকিবউদ্দিন কমিশনের বিতর্কের বড় অংশ ছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্ধেকের বেশি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ওই নির্বাচনে। পরে ছয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোট জালিয়াতির অভিযোগের অন্ত ছিল না। বিরোধী দলের ওপর সরকারি দলের প্রার্থীদের হামলা-মামলার বিষয়েও চুপ ছিল ইসি। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়েও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি কমিশন। এতে তৃণমূলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়াটিও হয়ে আছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিএনপি ও তাদের জোট শরিকরা প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছে এ নিয়ে। দায় এসেছে সরকারের ঘাড়ে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকলে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহযোগিতা করলে জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া কমিশনের পক্ষে সম্ভব, অন্যথায় নয়।’

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন বলতে যা বোঝাতে চাইছে তা হলো এমন একটি কমিশন যারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। কোনো বিশেষ বা গোষ্ঠীর হয়ে নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তারা তা নিতে পারবে। কোনো পেশীশক্তি বা নির্বাহী শক্তির কাছে জনগণের ভোটাধিকার জিম্মি হয়ে যাবে না। তবে এই চাওয়ার সঙ্গে তাদের সদিচ্ছার মিল থাকতে হবে। তারা যদি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ না দেয় তাহলে কমিশনকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এই সময়কে বলেন, ‘আইনে কমিশনের স্বাধীনতা ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। কমিশনারদের গ্রহণযোগ্যতা, স্বাধীনচেতা মনোভাব, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর কমিশনের স্বাধীনতা অনেকাংশে নির্ভর করে। বিগত কমিশনগুলোতে এর প্রতিফলন আমরা খুব একটা দেখিনি। যে কারণে ইসির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। মানুষের আস্থাও কম ছিল তাদের ওপর।’ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ মুক্ত থেকে ইসি কাজ করতে পারলে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে। নতুন কমিশন কতটুকু পারবে এটা সময়ই বলে দেবে।

এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এও মনে করেন, জোটভিত্তিক নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চা ও দায়বদ্ধতা দুর্বল করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে জোটভিত্তিক নির্বাচনের আইনগত ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে যায়। আমরা তখনই বলেছিলাম, এতে দলগুলোর নিজস্ব মতাদর্শে বিকশিত হওয়ার পথ বন্ধ হবে। হয়েছেও তাই। দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা, দায়বদ্ধতা এগুলো থাকছে না।’

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ এই সময়কে বলেন, ‘নতুন কমিশন হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সবার প্রচেষ্টা আগামী কমিশনকেও উদ্বুদ্ধ করবে। এখন সবার দৃষ্টি নতুন ইসির দিকে; নিশ্চয়ই শক্তিশালী কমিশনকে সবার সহযোগিতা করার মনোভাব থাকবে। কারণ ভোট ইসির শুধু একার নয়। সবার সহযোগিতা থাকলেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। কোনো দল ভোট বর্জন করলে বা নৈরাজ্য করলে যেমন নির্বাচন ভালো করতে পারবে না ইসি; তেমনি অন্যদল নিজেদের খেয়ালখুশি মতো আচরণ করলেও তা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে বলে মনে করেন তিনি।’ স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে যে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ভালো তা নয়, দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দরকার। কারণ জনগণের মতামত বা ভোটাধিকার বলতে যে কথাটি রয়েছে তা প্রয়োগে সবার সদিচ্ছা দরকার। নতুন নির্বাচন কমিশন সে বিষয়টি খেয়াল রাখবে বলে আশা করছি।’

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের দাবি তারা ইসির ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। অন্যদিকে এটা মানতে নারাজ বিএনপি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক এই সময়কে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ অতীতেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। যদি সরকারের হস্তক্ষেপ ইসির ওপর থাকতো তাহলে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারতো না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি সমালোচনা করেনি এমন কোনো বিষয় কি আছে? তারা কী বললো এটা তাদের ব্যাপার। তবে নির্বাচন কমিশন বিগত সময়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি যখন ভোটে পরাজিত হয় তখন তারা কমিশনের পদক্ষেপ, হস্তক্ষেপ এসব নিয়ে কথা বলে। এটা রাজনৈতিক কৌশল।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে করা সার্চ কমিটি সম্পর্কে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে যারা আছেন তারা শ্রদ্ধেয়জন। তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তারা যেসব নাম প্রস্তাব করবেন সেগুলোও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি মনে করি।’

বিপরীতে বিএনপি নেতাদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন সরকারের হস্তক্ষেপের বাইরে গিয়ে তখনই কাজ করতে পারবে যখন তারা দলমতের ঊর্ধ্বে থাকবে। তাদের দায়বদ্ধতা থাকবে জনগণের প্রতি। যাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের পবিত্র দায়িত্ব তাদের ওপর। সরকার নিজেদের পছন্দের কমিটি দিয়ে একটি ‘পৌষ্য’ কমিশন গঠন করতে চাচ্ছে। যেন তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মাহবুবুর রহমান এই সময়কে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যখন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারবে তখনই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তারা নিজেদের পবিত্র দায়িত্বকে সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে তখন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। সরকারের উচিত হবে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ক্ষমতার মধ্যে থেকে সঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া।’

সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তাবকে আমলে নেবেন। দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের প্রস্তাবকে বিবেচনা করবেন। অথচ তিনি যে কমিটি করে দিলেন তাতে সরকারের পছন্দভাজন ব্যক্তিরা জায়গা পেয়েছেন। তাহলে এরা তো সরকারের পছন্দের বাইরে কাজ করবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচন কমিশনের মতো আরেকটি পোষ্য কমিশন সরকার করতে যাচ্ছে। তারা সরকারের কথার বাইরে কাজ করবে না। তাদের হুকুম তামিল করবে। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে।’

তবে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আস্থা আছে বর্তমান সার্চ কমিটির ওপর। দলটির মহাসচিব রহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘সার্চ কমিটি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। তারা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কমিশন উপহার দিতে পারবে বলে আশা করছি।’ কতটুকু ক্ষমতা ইসির হাতে?

কমিশন শক্তিশালীকরণে আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিজস্ব জনবল বাড়ানো ও আর্থিক ক্ষমতা পেয়েছে ইসি। আগের তুলনায় কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। তারপরও রয়েছে অনেক সীমাবদ্ধতা। বড় আকারে নির্বাচন করার মতো নিজস্ব জনবল ইসির নেই। প্রশাসনিক প্রধান কর্মকর্তা সচিব নিয়োগ হয় সরকারের মর্জি অনুযায়ী। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকেন নির্বাহী বিভাগের অধীনে। তাদের দায়িত্ব পালনে ইসির চেয়ে সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন বেশি ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনারদের সদিচ্ছা, স্বাধীনচেতা মনোভাব, দৃঢ়তা ও ক্ষমতা প্রয়োগের দক্ষতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে কমিশনের স্বাধীনতা ও সক্ষমতা। আইনে অনেক ক্ষমতার অধিকারী ইসিকে নির্বাহী বিভাগ সহযোগিতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইসির অধীনে ন্যস্ত করা উচিত। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ইসির অধীনে দিতে হবে। তাদের বদলি, প্রত্যাহারসহ সব বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অন্যথায় নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :